মিয়ানমার সীমান্তে আবারও গোলাগুলি

২১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

মিয়ানমার সীমান্তে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের তুমব্রু শূন্যরেখায় আবারও গোলাগুলি চলছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) উভয়ের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। বুধবার মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তুমব্রু শূন্যরেখায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে হামিদ উল্লাহ (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা মারা যান ও একজন আহত হন। আহত রোহিঙ্গা ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গোলাগুলি চলার সময়ে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে এতে প্রায় ৫০০ ঘর পুড়ে যায়। ওই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ৬২১টি ঘর ছিল। গোলাগুলি ও ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার ভয়ে ক্যাম্পের সিংহভাগ রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে। বাকী রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু সীমানার দুইটি বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে। জানা গেছে, বুধবার মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) দুই গ্রুপের মধ্যে দিনভর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তারই রেশ ধরে শুক্রবার রাত আটটার দিকে উভয়ের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে উভয়ের মধ্যে গোলাগুলিতে এপারের স্থানীয়দের মধ্যেও আতংক বিরাজ করছে। বুধবারের গোলাগুলি ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে এপারে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চললেও এপারের স্থানীয় জানমালে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। শূণ্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, বুধবারের ঘটনার রেশ এখনো থামছে না। গোলাগুলি রাত আটটার দিকে শুরু হয়েছে। এখনো থেমে থেমে গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে শুনেছি দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। হতাহত হয়েছে কিনা এখনো জানা যায়নি। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হওয়াতে প্রকৃত ঘটনা বোঝা যাচ্ছে না। নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি হয়েছে এমন খবর এখনো শুনিনি। জানার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।