২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না: স্পিকার

২০ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:১৩ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশে কেউ পিছিয়ে থাকবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরো মজবুদ, টেকসই ও পরিণিত করতে স্মার্ট বাংলাদেশ করা হচ্ছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় মাদারীপুর উৎসব ২০২৩ ও মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান ও বাস্তবতা। সেই বাস্তবতাকে আরো পরিণিত করতেই সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছে। তার জন্যে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তা হলো স্মার্ট শাসন ব্যবস্থা, স্মার্ট কমিউনিটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সিটিজেন। এই চারটি বিষয়কে অধিক গুরুত্ব দিয়েই সামনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।’ তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে রক্ষার জন্যে আগামী ২১০০ সালকে মাথায় রেখে ডেল্টা প্লান করেছে সরকার। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারবো। এরই মধ্যে মেক্ট্রোরেল উদ্বোধন হয়েছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল চালু করা হবে। এতেই প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আগাচ্ছে। এর সবকিছুর পরিকল্পণাকারীই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দেশের কৃষক মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যে উন্নয়নের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সেটা হলো অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন। দেশের ব্যাংকিং সেবার ভেতরে কিভাবে কৃষকের অন্তর্ভূক্ত করা যায় সে লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠির বেশি নারী। নারীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ব্যাপক কার্যক্রম করছে। তাদের দক্ষতার উন্নয়ন, ক্ষুদ্র-মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আনা। নারীদের জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা। তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটারসহ নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে এগিয়ে আনছে সরকার। ই-কমার্স অনলাইনের মাধ্যমেও নারীরা কিভাবে ব্যবসা করতে পারে সেই ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। জাতীয় সংসদের স্পিকার আরো বলেন, ২০০৯ থেকে বর্তমান সরকার একটানা ক্ষমতায় রয়েছে। এরমধ্যে দারিদ্রের হার শতকরা ৪০ ভাগ থেকে কমিয়ে ২১ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক কার্যক্রম সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। দারিদ্রসীমার নিচে যারা বাস করছেন, তাদের নানা ধরনের ভাতা দিচ্ছে সরকার। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী ১২ দিনব্যাপী মাদারীপুর উৎসব ও মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক নৌমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, মাদারীপুর-৩ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনি, জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব কে.এম আবদুস সালাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অধ্যাপক তাহমিনা বেগম, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ওবাইদুর রহমান খান, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ।