আরেকটি প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করল ইমরান খানের দল

১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩২ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্তির তিন দিনের মাথায় এবার খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের দল পিটিআই। পাকিস্তানে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্তির পর এবার খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদও ভেঙে দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক সরকারের জন্য প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একই সময়ে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুটি প্রাদেশিক পরিষদ আগেই ভেঙে দেওয়ায় এখন নিয়মানুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে আলাদা নির্বাচন দিতে হবে। আগামী অক্টোবরে পাকিস্তানে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে প্রাদেশিক পরিষদ এবং জাতীয় নির্বাচন আলাদা করে হবে কি-না, তা নিয়ে সংশয় আছে। পাকিস্তানের আছে চারটি প্রদেশ। খাইবার পাখতুনখাওয়া উত্তর-পশ্চিমের প্রদেশ এবং পাঞ্জাব পূর্বের প্রদেশ। পাকিস্তানের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষের বাস এ দুটি প্রদেশে। খাইবার পাখতুনখাওয়ার গভর্নর গুলাম আলি বলেছেন, তিনি পিটিআই সরকারের দেওয়া পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন একদিন আগে। এছাড়া আর বিকল্প ছিল না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি। বুধবার পিটিআই পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেয়। এর তিন দিন আগেই ভেঙে যায় পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদ। সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ‘ইচ্ছানুযায়ী’ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহি গভর্নর বাঘিউর রেহমানকে গত বৃহস্পতিবারেই প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করার আবেদন পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। সেই আবেদনে গভর্নরের সই করার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টা। গভর্নর এতে সই না করায় ৪৮ ঘণ্টা পর আপনা থেকেই পাঞ্জাব পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ইমরানের দল পিটিআই নিজেদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দুই প্রদেশেই সরকার গড়তে চায়। দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইমরান খানের মূল উদ্দেশ্য। ইমরান খান গত বছর এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া এবং নভেম্বরে দলীয় সমাবেশে এক হামলায় আহত হওয়ার পর প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।