চার দফা দাবি রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দেশের প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুজন করে আনসার নিয়োগ এবং সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে সোমবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক করে তারা এ দাবি জানান। মন্ত্রী তাদের দাবির প্রতি একমত পোষণ করে তা পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রাত ৯টায় মন্ত্রীর গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অহিদুল ইসলাম এবং মহাসচিব এসএম শফিউল বারী উপস্থিত ছিলেন। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া চার দফা দাবি হলো- নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিটি (পাঁচ শতাধিক) সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুজন সশস্ত্র আনসার নিয়োগ; প্রতিটি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর ওপর হামলায় দায়ীদের দ্রুত দৃশ্যমান শাস্তি নিশ্চিত করা এবং আহত সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী থেকে ঢাকায় এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা, প্রয়োজনে তাকে দেশের বাইরে নেওয়া। সূত্র জানায়, এই চার দফা দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন মন্ত্রী এবং প্রথম দুটি দাবি পূরণের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন দিতে বলেন। পরের দুটি দাবির বিষয়ে মন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং বাস্তবায়ন হচ্ছে। নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার (আজ) সকালে গুরুতর আহত ইউসুফ আলীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হবে। এ ব্যাপারে আইন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈঠক সূত্র আরও জানায়, অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ লিখিত আকারে দাবিগুলো পেশ করা হবে। গত ১০ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী নিজ দপ্তরে হামলার শিকার হন। বেলা সাড়ে ৩টায় ১০-১২ জন লোক হাতে লাঠি ও পাইপ নিয়ে এজলাস কক্ষে প্রবেশ করে পেপার ওয়েট, পানির গ্লাস, লাঠি ও পাইপ দিয়ে তার মাথার পেছন দিকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। গুরুতর অবস্থায় তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মোহরার মামুন অর রশিদ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তিনজন মুহুরিকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় সারা দেশের সাব-রেজিস্ট্রাররা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। এরপর দোষীদের শাস্তির দাবিতে সারা দেশে সাব-রেজিস্ট্রাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যান। পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।