মজুত গ্যাস দিয়ে ১১ বছরের চাহিদা মেটানো সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী

১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:২০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বর্তমানে দেশে ৯.০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ পরিমাণ মজুত গ্যাস দিয়ে প্রায় ১১ বছর দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানান তিনি। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। প্রশ্নে নুরুন্নবী চৌধুরী জানতে চান, দেশে বর্তমানে গ্যাসের মজুতের পরিমাণ কত ও চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে কি না। উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে (জুন, ২০২২) দেশে মজুত গ্যাসের পরিমাণ ৯.০৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট (টিসিএফ)। সর্বশেষ (০১ জুলাই, ২০২২) প্রাক্কলন অনুযায়ী দেশে মোট উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজুত (২পি) ২৮.৫৯ টিসিএফ। শুরু থেকে গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ক্রমপুঞ্জিত গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ১৯.৫৩ টিসিএফ। সে হিসেবে বর্তমানে (০১ জুলাই, ২০২২) উত্তোলনযোগ্য অবশিষ্ট মজুতের (২পি) পরিমাণ ৯.০৬ টিসিএফ। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রসমূহ হতে দৈনিক গড়ে প্রায় ২২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে বিবেচনায় অবশিষ্ট মজুতকৃত গ্যাস দ্বারা প্রায় ১১ বছর বাংলাদেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিরোধীদলীয় সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটে দাঁড়াবে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। তন্মধ্যে আমদানিসহ গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২৩ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট, ক্যাপটিভ ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং অফগ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪১৮ মেগাওয়াট। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াটের মধ্যে সরকারি খাতে ১০ হাজার ২৪৬ মেগাওয়াট, যৌথ উদ্যোগে ১ হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট, বেসরকারি খাতে ৯ হাজার ৯৫৮ মেগাওয়াট ও আমদানি ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াট (১৬ এপ্রিল ২০২২)। বিদ্যুৎ উৎপাদন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।