১৭ বছরের ট্রফিখরা কাটিয়ে টটেনহ্যামের ইউরোপা লিগ জয়

২২ মে, ২০২৫ | ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

২০০৮ সালে ইংলিশ লিগ কাপ জেতার পর আর কোনো ট্রফি জেতেনি টটেনহ্যাম। ২০১৮-১৯ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেললেও ফিরতে হয় শূন্য হাতে। তবে এবার সে ধারায় ছেদ টেনেছে ক্লাবটি। আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপা লিগ জয় করেছে টটেনহ্যাম। অল ইংলিশ ফাইনালে শুরু থেকেই বল পজিশন এবং আক্রমণে বেশ এগিয়েছিল রুবেন আমোরিমের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে অনেকটা ধারার বিপরীতে-ই প্রথমার্ধের শেষ দিকের ম্যাচের একমাত্র গোলের দেখা পেয়ে যায় টটেনহ্যাম। ৪২ মিনিটে পাপে মাতার সারের ক্রস সামলাতে গিয়ে নাকানি-চুবানি খান ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শ। এতে বল পেয়ে যান চলতি মৌসুমে টটেনহ্যামের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড ব্রেনান জনসন। ইউনাইটেড গোলকিপার আন্দ্রে ওনানাকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠাতে তার মোটেই বেগ পেতে হয়নি। ম্যাচের বাকি সময়ে অনেকটা চেষ্টা করেও এই গোল আর শোধ দিতে পারেনি রেড ডেভিলরা। কখনো তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন টটেনহ্যাম গোলকিপার জিউলিয়েলমো ভিকারিও, তো কখনো আবার টটেনহ্যামের ইস্পাতদৃঢ় রক্ষণে মুখে থুবড়ে পড়েছে ব্রুনো ফার্নান্দেসদের আক্রমণ। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে সম্ভবত সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি পেয়েছিল ইউনাইটেড। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি টটেনহ্যাম গোলকিপার ভিকারিও। সে সুযোগ ফাঁকা পোস্টে হেড করেন ইউনাইটেডের নাম্বার নাইন রাসমুস হয়লুন। তবে হাওয়ায় ভেসে গোললাইন থেকে দারুণ দক্ষতায় বল ফিরিয়ে টটেনহ্যামের লিড অক্ষত রাখেন ডাচ সেন্টারব্যাক মিকি ফন ডে ভেন। ইউরোপা লিগ ফাইনালের আগপর্যন্ত টটেনহ্যামের জন্য চলতি মৌসুমে কিছুই পক্ষে আসেনি। প্রিমিয়ার লিগে ৩৭ ম্যাচ থেকে মোটে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন ১৭ নম্বরে অবস্থান করছে দলটি। নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম কঠিন মৌসুমেই শেষ পর্যন্ত ট্রফির সোনালী হাসি হেসেছে স্পার্স। এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে শুধু যে ইউরোপা লিগ ট্রফি-ই জিতেছে টটেনহ্যাম, তা-ই নয়। একইসঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার টিকিটও নিশ্চিত হয়েছে অ্যাঞ্জ পস্তেকগলুর শিষ্যদের।