প্রায় ১০০ পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে আটকা

বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ একাধিক পণ্যের রপ্তানি কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে। এ বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস পণ্যসহ প্রায় ১০০টি বাংলাদেশি ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সোমবার পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো বন্দর ও অন্যস্থানে আটকা থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি)। যেসব তৈরি পোশাক স্থলবন্দর হয়ে আসতো। এখন থেকে সেসব পণ্য কলকাতা সমুদ্রবন্দর ও মুম্বাইয়ের নাভা শেভা বন্দর দিয়ে আনতে হবে। এছাড়া যথারীতি যা আছে তাই থাকবে। তবে যেসব পণ্যের এলসি/টিটি হয়েছে সেগুলো যাতে আমদানি করা যায় সেজন্য কাস্টমসে আলোচনা চলছে। এসব ট্রাক নিষেধাজ্ঞার আগের এলসি হওয়ায় ধীরে ধীরে ভারতে প্রবেশ করবে। রপ্তানিকারকরা বলেন, ভারতের এই প্রজ্ঞাপনে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা ক্ষতির মুখে পড়বে। বেনাপোল স্থলবন্দরের তুলনায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পণ্য ভারতে পাঠাতে দ্বিগুণ খরচ হবে। এ বিষয়ে বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে বাণিজ্য সহজ করার দাবি জানাচ্ছি। বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃকপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা এ নিয়ে ভাবছেন।