ইভিএম কেনার প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হবে: মন্ত্রী

১১ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমরা নিয়মকানুনের মধ্যেই ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) নিয়ে কথা বলছি। নির্বাচন কমিশনের সব প্রয়োজন আইনের আলোকে বিচার করা হবে। যত শিগগিরই সম্ভব ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে। অতিদ্রুত আমরা এটি অনুমোদনের চেষ্টা করব। তিনি বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রকল্প অনুমোদন দিতেই হবে এটা কোনো রেড লাইন (লাল রেখা) নয়। এটা ১৮ জানুয়ারিও হতে পারে, ২০ জানুয়ারিও হতে পারে। এমনকি আগামীকালও ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন হতে পারে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যত শিগগিরই সম্ভব ইভিএম কেনার প্রকল্পটি অনুমোদন করানো হবে। শুধু একনেক সভায় এগুলো অনুমোদন হয়, ব্যাপারটি তা নয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তাদের সচিব ও আমাদের সচিবের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। আমরা কতগুলো ইভিএম দেব একনেক সভার আগে পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভায় সেটা আলোচনা হবে। সেই সভায় আমরা উপস্থিত থাকি। নির্বাচন কমিশনের লোকজনও উপস্থিত থাকেন। সবাই আলোচনা করেই এটা অনুমোদন দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে এমএ মান্নান বলেন, পৃথিবীর যে কোনো সরকার টাকা হিসাব করে খরচ করে। সেটা সুইজারল্যান্ড হোক আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক। যখনই কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসে, তখনই আমরা এগুলো আইন ও নিয়মকানুনের আওতায় দেখভাল করি। নির্বাচন করতেই হবে। সাংবিধানিকভাবে বলা আছে- ইসিকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে। আমরাও কিন্তু সেই পথে আছি; যা কিছু করি দুইপক্ষ আলোচনা করেই করি। প্রসঙ্গত, আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য চলমান প্রকল্পটির মূল্যায়ন করতে আইএমইডিকে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে কমিশন; কিন্তু সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে, তা বাজেটের ওপর নির্ভর করবে। তবে এ বিষয়ে জানুয়ারির মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে। এখন যে পরিমাণ ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৭০ আসনে ভোট করা যাবে। বাকিটা নির্ভর করবে কী পরিমাণ বাজেট পেলাম তার ওপর। এক্ষেত্রে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প না হলে আগামী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব নাও হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ড বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সম্পর্ক গত ৫০ বছর ধরে অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সময়ই অংশীদার হতে চাই আমরা। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশ কিভাবে সামনে এগোবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ২০২৫ সাল নিয়েও বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, তার সঙ্গে আছি আমরা।