গাজীপুরে নিহতের গুজবে ৪ বাসে আগুন, অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর

১০ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

গাজীপুর মহানগরে বাস চাপায় গার্মেন্টসকর্মী নানী-নাতি নিহত হওয়ার গুজবে ৪টি বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এসময় তারা প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাঙচুর ও দুইঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ছয়দানা মালেকের বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের এসআই মনির হোসেন ও এলাকাবাসী জানান, শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার লঙ্গরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আশরাফের মেয়ে আসমা (২২) তার নানী একই এলাকার মরিয়মকে (৬০) নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন রড মিল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আসমা তার নানীকে নিয়ে ছয়দানা হারিকেন ফ্যাক্টরি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকাগামী গ্রীণ অনাবিল পরিবহনের একটি বাস তাদেরকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তায়েরুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ ও বাসটি আটক করে। তিনি জানান, হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত ওই দুইজন মারা গেছেন এবং তারা গার্মেন্টসকর্মী- এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনসহ আশেপাশের বিভিন্ন কারখানার গার্মেন্টসকর্মীরা সড়কে বের হয়ে আসে। তারা প্রায় অর্ধশত গাড়ি ভাংচুর ও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় বিক্ষুব্ধরা ওই পরিবহনের দুইটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার অল্প সময়ের ব্যবধানে মালেকের বাড়ি এলাকায় বলাকা ও উজানভাটি পরিবহনের আরো দুইটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে উত্তেজিত লোকজন। এছাড়া আরো দুইটি বাসে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে বিক্ষুব্ধ লোকজন বাঁধা দেয়। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন আটকা পড়ে চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তায়েরুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আশরাফ হোসেন জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) উপ-কমিশনার আলমগীর হোসেন জানান, মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী দ্রুতগতির একটি বাসের চাপায় দুই পথচারী আহত হন। এসময় আহতদের মৃত্যুর গুজবে বিক্ষুব্দ জনতা চারটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আগুন নিভিয়ে রাত পৌণে ৯টার দিকে বিক্ষুব্দ জনতাকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে সড়কে যানবাহন চলাচল করছে।