বিদেশিদের মাতব্বরির দরকার নেই, আয়নায় নিজের মুখ দেখুক

৯ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের মাতব্বরি না করে আয়নায় নিজেদের মুখ দেখতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। রবিবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, এই দেশের সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। যখন (সত্তরের নির্বাচনে) আওয়ামী লীগ মেজোরিটি পেলো, তাদের সরকার গঠন করতে দিলো না। তখনই তো আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। তারপর জেনোসাইড (গণহত্যা) হওয়ার পর আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। আমাদের (দেশের) জন্ম হয়েছে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান জন্য, তুলে ধরার জন্য। এই দেশের প্রত্যেক মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এই প্রিন্সিপলগুলো আছে। তাই আমাদেরকে অন্যরা মাতব্বরি করে এই পরামর্শ দেয়ার দরকার নেই। উনারা নিজেদের আয়নায় দেখুক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অঙ্গীকার করেছি, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গিকার করেছেন যে, আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। যারা আসতে চায়, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমরা অবশ্যই বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে, আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা (যুক্তরাষ্ট্র) ১৪ বারে স্পিকার নির্বাচিত করেছে। আমাদের দেশে তো এরকম কোনো ঝামেলা নাই। আমেরিকার ৮২ না ৭২ পার্সেন্ট (শতাংশ) জনগণ মনে করে আমেরিকার ডেমোক্রেসি খুব দুর্বল। আর রিপাবলিকান পার্টির ৭৭ পার্সেন্ট মনে করে যে, গত প্রেসিডেন্সি ইলেকশন ছিল ফ্রড ইলেকশন এবং দে হ্যাভ স্টোলেন দ্য ইলেকশন (তারা ভোট চুরি করেছে)। এই রকম তাদের মনমানসিকতা। আমাদের দেশেও কিছু লোক এই ধরনের আছে। ড. মোমেন বলেন, ওই দেশে (যুক্তরাষ্ট্রে) অ্যাভারেজ কতজন লোকে ভোট দেয়? পঞ্চাশের (শতাংশ) নিচে ভোট দেয়। আর আমাদের দেশে ৭২, ৮০, ৯০ পার্সেন্ট লোকে ভোট দেয়। এই গাইবান্ধায় ৮৬ পার্সেন্ট ভোট পড়েছে। আমাদের দেশে ইলেকশন খুব স্বতঃস্ফূর্ত হয়। আনন্দময় হয়। ওইসব দেশে ইলেকশনের এক মাস আগে ক্যাম্পেইন শুরু হয়, আমাদের এক বছর আগেই শুরু হয়ে গেছে।