ফেব্রুয়ারিতেই খুলে দেওয়া হচ্ছে লোহালিয়া সেতু

৮ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

শেষ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলার চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের প্রায় এক যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের চার মাস আগে অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই খুলে দেওয়া হচ্ছে লোহালিয়া নদীর ওপর নির্মিত লোহালিয়া সেতুর দ্বার। শেষ মুহূর্তে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বহু প্রত্যাশিত লোহালিয়া সেতুর স্টিল স্ট্রাকচারের নির্মাণকাজ। দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে লোহালিয়া সেতু। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, বর্তমানে যেভাবে কাজ চলছে, তা অব্যাহত রাখা গেলে সেতুটি শীঘ্রই যানবাহন চলাচলের জন্য উপযোগী হয়ে যাবে। সেতুটি চালু হলে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপার পাশাপাশি রাঙ্গাবালী উপজেলার সঙ্গেও জেলা সদর এবং রাজধানী ঢাকার সরাসরি নিরবচ্ছিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক স্থাপিত হবে। এতে সহজ যোগাযোগের পাশাপাশি লোহালিয়া সেতু জেলার পর্যটনসহ স্থানীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। দেশের সর্ব দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী। নদ-নদীতে ঘেরা জেলার অধিকাংশ উপজেলায় যেতে আগে একাধিক নদী পাড়ি দিতে হতো। এরই মধ্যে জেলায় পায়রাসহ একাধিক সেতু নির্মিত হওয়ায় কলাপাড়াসহ কয়েকটি উপজেলা সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় আসে। যাতায়াত সহজ হয় পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায়। কিন্তু এতদিন লোহালিয়া নদীর ওপর কোনো সেতু কিংবা ফেরি না থাকায় অনেকটা বাড়তি পথ ঘুরে গলাচিপা, বাউফল, দশমিনা ও রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষকে পটুয়াখালী জেলা শহরে যাতায়াত করতে হতো। তবে শেষ মুহূর্তে আশার খবর হলো, আসছে ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ হচ্ছে লোহালিয়া সেতুর নির্মাণকাজ। বর্তমানে সেতুর মাঝখানে চীন থেকে আনা স্টিল কাঠামো বসানোর কাজ চলছে। কাঠামো বসানোর দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মো. শরীফ বলেন, আসছে ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই আমরা আমাদের নির্ধারিত কাজ শেষ করব। আশা করছি, এরপর থেকেই ব্রিজের ১০৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে যে স্টিল কাঠামো আছে, এর নিচ দিয়ে বড় নৌযান চলাচল করতে পারবে। একই সময় থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া পটুয়াখালী-গলাচিপা নৌপথটিও চালু হবে। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার প্রকৗশল বিভাগের নির্মাণ করা সেতুতে কোনো প্রকার টোল আদায় করা হয় না। এতে করে এ সেতুতে চলাচলকারী কোনো যানবাহনকে টোল দিতে হবে না। ফলে স্থানীয় মৎস্য ও কৃষি শিল্পের জন্য নতুন এক দিগন্তের সূচনা ঘটবে বলে মনে করেন জেলার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৗশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লতিফ হোসেন বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারিত থাকলেও বর্তমানে যে গতিতে কাজ চলছে, তাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতেই সেতুটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হবে। এরপরও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।