দুয়ার খুললেও স্টলের কাজ শেষ হয়নি বাণিজ্যমেলার

৩ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে বছরের শুরুর দিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মেলার দুয়ার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হলেও এখনো সব স্টল ও প্যাভিলিয়নের কাজ শেষ হয়নি। নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজ চলছে, যা শেষ করতে আরও কয়েক দিন লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে বাণিজ্য মেলা জমতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও মূল কেন্দ্রের এবং বাইরের প্রাঙ্গণের বেশির ভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়নের সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়নি। যারা কিছুটা গুছিয়েছেন, তারা দিনভর ব্যস্ত ছিলেন পণ্য সাজাতে। উদ্বোধনের দিন এবং সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল কম। এদিন বেচাবিক্রিও তেমন হয়নি। তবে দোকানিরা বলছেন, মেলা আগামী শুক্রবার থেকে জমে উঠবে বলে তারা আশা করছেন। স্টল মালিক ও নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে দুই দিন তারা সেভাবে কাজ করতে পারেননি। তাছাড়া একই শ্রমিক বিভিন্ন স্টলে কাজ করেছে। ফলে অনেক কাজ পিছিয়ে গেছে। মেলায় আগতরা বলছেন, টিকিট কেটে মেলায় ঢুকে ভুল করেছি। আরও কয়েক দিন পরে আসার দরকার ছিল। মেলা এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। প্রস্তুতির কাজের পাশাপাশি মেলায় ধুলো নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন তারা। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, মেলার স্টলের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। কিছু স্টলের কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে স্টলের কাজ শেষ হয় যাবে। এবারের মেলায় দেশী-বিদেশী মিলে মেলায় মোট ৩৫১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন থাকছে। গতবার এই সংখ্যা ছিল ২২৫টি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা। মেলায় ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হল রুম ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য আলাদা একটি মিনি পার্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপালসহ ১২টি দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। এসব দেশের প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টলের সংখ্যা ১৭টি। এবারও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ও কয়েকটি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস চলছে। এ বিষয়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘এবারও যাতায়াতে যেন ভোগান্তি না হয় এজন্য কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে সাধারণ দিনে ৫০-৬০টি ও ছুটির দিনে দেড় শতাধিক বিআরটিসি বাস থাকবে। যতক্ষণ যাত্রী থাকবে ততক্ষণ বাস থাকবে।’ এবার বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। যারা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে চান, তাদের জন্য মেলায় প্রায় ১ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা আছে। এবারে মেলার প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা। চাইলে মেলার টিকিট চাইলে অনলাইনেও কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।