বৃত্তি পাচ্ছে এসএসসির ৬৪৫৮ শিক্ষার্থী

২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৪২ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

ঢাকা বোর্ডে বৃত্তি পাচ্ছে এসএসসির ৬৪৫৮ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৮২৭ জন শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি এবং ৫ হাজার ৬৩১ জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হবে। ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তি প্রদান করা হবে। বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ব্যাংকের হিসাব নম্বর ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিসহ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ২০২২ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নে বর্ণিত শর্তে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হলো। সরকারি নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী, এ বৃত্তির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ বৃত্তি প্রদানের সময় নিম্নে বর্ণিত নিয়ম ও নীতিমালা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। শর্ত বৃত্তির গেজেটে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে সে প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র প্রদান সাপেক্ষে ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক বৃত্তির অর্থ উত্তোলন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সদাচরণ, বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি ও সন্তোষজনক পাঠোন্নতি সাপেক্ষে বৃত্তি প্রদান করা হবে। কোনো শিক্ষার্থী উচ্চ শ্রেণিতে অধ্যয়নের জন্য অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি না হলে বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। এ বৃত্তিগুলোর সংখ্যা, হার ও মেয়াদ আপাত নির্ধারিত। প্রয়োজন বোধে সরকার কোনো কারণ না দেখিয়েই তা পরিবর্তন বা বাতিল করতে পারবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মঞ্জুরিপ্রাপ্ত (অনুমোদন) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে বৃত্তি কার্যকর হবে। মঞ্জুরিপ্রাপ্ত (অনুমোদন) নয় এমন কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ বৃত্তি কোনোক্রমেই কার্যকর হবে না। কারণ সরকারি আইন অনুযায়ী, অননুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য নয় এবং অননুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নকাল পাঠবিরতি (ব্রেক অব স্টাডি) হিসেবে গণ্য হবে। বৃত্তিপ্রাপ্ত সব শিক্ষার্থী বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করবে। সরকার অনুমোদিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসিক বেতন দাবি করতে পারবে না। তাদের কাছে মাসিক বেতন দাবি করলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী মাসিক ৬০০ টাকা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী মাসিক ৩৫০ টাকা হারে বৃত্তি পাবে। বইপত্র ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য অনুদান হিসেবে মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি বছর ৯০০ টাকা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রতি বছর ৪৫০ টাকা এককালীন অর্থ সাহায্য পাবে। মেধাবৃত্তি ও সাধারণবৃত্তি সরকারি নির্দেশনা মতে ছাত্র ও ছাত্রী উভয়ের মধ্যে ৫০ শতাংশ বণ্টনকৃত। এ বৃত্তিগুলোর মেয়াদ ২০২২ সালের জুলাই মাস হতে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ২ বছর।