দশ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক তহবিল

২ জানুয়ারি, ২০২৩ | ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

নতুন করে ১০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি সহায়ক তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৪ শতাংশ সুদে রপ্তানি পণ্যের কাঁচামাল আমদানির জন্য এখান থেকে ঋণ দেওয়া হবে। চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন পাবে দেড় শতাংশ সুদে। বৈদেশিক মুদ্রায় বিদ্যমান রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গুটিয়ে আনার আলোচনার মধ্যে বিকল্প এ তহবিল গঠন করা হলো। গতকাল রোববার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আইএমএফের পরামর্শ মেনে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য ইডিএফে জোগান দেওয়া ৭ বিলিয়ন ডলারসহ মোট ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভে দেখানো যাবে না। এ কারণে ইডিএফের আকার কমিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে ইডিএফের বিকল্প একটি তহবিল গঠন করা হলো। অবশ্য ইডিএফ থেকে ডলারে ঋণ মিললেও নতুন তহবিল থেকে নিতে হবে টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, ডলার বিক্রির বিপরীতে বাজার থেকে অনেক অর্থ উঠে এসেছে। এরকম পরিস্থিতিতে বাজারে তারল্য বাড়াতে এ তহবিল গঠন করা হয়েছে। সংশ্নিষ্টরা জানান, ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ১ হাজার ২৬১ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। এর বিপরীতে বাজার থেকে উঠে এসেছে ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। আবার ডলারের পাশাপাশি ব্যাংক খাতে টাকারও সংকট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে বড় অঙ্কের এ তহবিল গঠন করা হলো। সম্প্রতি গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডের বিকল্প টাকায় একটি তহবিল গঠন করা হয়। এ ছাড়া তারল্য বাড়াতে করা হয়েছে বিভিন্ন তহবিল। সার্কুলারে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতিশীল করতে রপ্তানি খাতকে সহায়তা দেওয়া দরকার। এ ছাড়া করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় রপ্তানি বেগবান করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ। এ খাতের জন্য পর্যাপ্ত তারল্য নিশ্চিত করতে এ তহবিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে আরও বলা হয়েছে, ঋণের মেয়াদ হবে ১৮০ দিন। তবে রপ্তানি বিল যথাসময়ে ফেরত না আনতে পারলে একবার ৯০ দিন মেয়াদ বাড়ানো যাবে। স্থানীয় রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানি বা স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের বিপরীতে এখান থেকে প্রাক-অর্থায়ন সুবিধা নেওয়া যাবে। কোনো ঋণখেলাপি কিংবা যথাসময়ে রপ্তানি বিল ফেরত না আনা প্রতিষ্ঠান ঋণ পাবে না। অবশ্য নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসন করতে না পারলে আরেকবার ঋণ পাবেন।