বিশ্বসেরার তালিকায় যে ৩২ গ্রাম

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

করোনা মহামারির পর থেকে শহুরে ক্লান্ত ও অসুস্থ জীবন থেকে মুক্তির আশায় গ্রামে ঝুঁকছেন মানুষ। গ্রামেই যেনো মেলে দু-দণ্ড স্বস্তি। ভ্রমণপিপাসু সেসব মানুষের জন্য এবার প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্বসেরা গ্রামের দ্বিতীয় বার্ষিক তালিকা। বৃহস্পতিবার ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (ইউএনটিও) কর্তৃক প্রকাশ করা হয় বিশ্বসেরা ৩২ গ্রামের নাম। সিএনএন। তালিকা তৈরির আগে প্রতিটি দেশকে তিনটি করে গ্রামের নাম জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। যেখানে আসা ১৩২টি গ্রামের মধ্য থেকে বাছাই করা হয় ৩২টি গ্রামকে। সুন্দর গ্রামের এই তালিকায় স্পেনেরই রয়েছে তিনটি গ্রাম- রুপিত, এলকুইজার ও গুয়াদালুপে। প্রতিবেশী দেশ পর্তুগালের একটি গ্রাম তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে-‘ক্যাস্টেলো নভো’। গ্রামটি ‘সেরা দা গার্দুনহা’ পর্বতশ্রেণি দ্বারা বেষ্টিত পর্তুগালের ১২টি ঐতিহাসিক গ্রামের মধ্যে একটি। তালিকাটি শুরু হয় অস্ট্রিয়ার শান্তিপূর্ণ গ্রাম ‘জেল এম সি’র নাম দিয়ে। গ্রাম থেকেও বেশি নৈসর্গিক এ অঞ্চলকে ছোট শহরই বলা চলে। কিটজবুহেল আল্পস পর্বতের ছায়ায় জেল লেকের তীরে। তার পরেই আসে চিলি। যার প্রবেশদ্বারেই অবস্থিত ‘পুকিউএলডন’ গ্রাম। চিলো দ্বীপপুঞ্জের লেমুয় দ্বীপের নয়টি গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রাম এটি। এছাড়া চীনের দুটি গ্রামও রয়েছে তালিকায়। উত্তর গুয়াংসি প্রদেশের দাঝাই এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের চংকিংয়ের জিংঝু। তালিকায় একটি বিশেষ আকর্ষণীয় সংযোজন হলো ‘চোক মাউন্টেন’ গ্রাম। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ২০০ মাইল দূরে চোক পর্বতের একটি ইকোট্যুরিজম গ্রাম। যেখানের কৃষক সম্প্রদায় সৌর শক্তি, বায়োগ্যাস এবং পরিবেশগত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করে, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করে আসছে। চালু করেছে ন্যায্য বাণিজ্য পর্যটন। দর্শনার্থীরা এখানে তাদের স্মৃতি হিসাবে স্থানীয় মধু, কফি, ঔষধি ভেষজ এবং বিয়ার কিনতে পারেন। ‘সেরা পর্যটন গ্রাম’ ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হয় মূলত গ্রামীণ জনসংখ্যার অগ্রগতি, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, উদ্ভাবন, অবকাঠামো এবং বিনিয়োগ, আঞ্চলিক আয় ও উন্নয়ন বৈষম্য হ্রাস করার জন্য। এছাড়া নির্গমন ও বর্জ্য হ্রাস করাসহ টেকসই পর্যটন কার্যক্রম নিশ্চিত করাও এর উদ্দেশ্য। জাতিসংঘের পর্যটনকেন্দ্রিক সংস্থা ইউএনটিও এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গ্রামগুলোকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা পর্যটনকে আলিঙ্গন করলে এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক মূল্যবোধ এবং পণ্যগুলোর সংরক্ষণ এবং প্রচারের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি চাকরি এবং আয়ের নতুন সুযোগগুলোকে গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া গ্রামগুলো অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।’