জামায়াত-শিবিরের অতীত নৈরাজ্য আবার ফিরুক, মেনে নেব না: ডিএমপি কমিশনার

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:৩২ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

রাজধানী ঢাকায় গতকাল (শুক্রবার) বিএনপির গণমিছিলের সঙ্গে সমর্থন জানিয়ে জামায়াতও আলাদাভাবে মিছিল করেছে। জামায়াত এই মিছিল অবৈধভাবে করেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘গতকাল জামায়াত–শিবির অবৈধভাবে মিছিল করেছে। তাদের মিছিল করতে নিষেধ করার কারণে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করেছে, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করেছে। আমরা তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি।’ তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির অতীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল। তার ধারাবাহিকতায় গতকাল আবারো তারা তাদের কর্মকাণ্ড দিয়ে অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, জামায়াত-শিবিরের অতীত নৈরাজ্য আবার ফিরে আসুক, সেটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। গতকাল যেখান থেকে তারা মিছিল বের করেছিল, সেখানে আমাদের পুলিশ ছিল। পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করেছি। যারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, তাদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে শুক্রবার ঢাকায় গণমিছিল বের করে বিএনপি। এতে সমর্থন জানিয়ে মালিবাগ, পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় জামায়াতও পৃথকভাবে মিছিল বের করে। এ সময় কয়েকটি স্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। পুলিশ জানায়, জামায়াত বিনা অনুমতিতে মিছিল বের করে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান, রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. বায়েজীদুর রহমান, রমনা থানার এসআই শহিদুল ওসমান মাসুম, এসআই সুবীর কুমার কর্মকার, এসআই হাবিবুর রহমান, এসআই মোহাইমিনুল হাসান, এএসআই কবির হোসেন, এএসআই ফিরোজ মিয়া এবং পিওএম পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল সৌরভ নাথ ও কনস্টেবল সাদী মোহাম্মদ। আহত ১০ পুলিশ সদস্যকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জুমার নামাজের সময় রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান নেন জামায়াত নেতাকর্মীরা। নামাজ শেষ হতেই ‘নারায়ে তাকবির’ স্লোগান দিয়ে তারা রাস্তায় নেমে পড়েন। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে পুলিশ ও জামায়াতের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। জামায়াতের আহতদের কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন বলেন, বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচিতে অনুমতি ছাড়াই জামায়াত মাঠে নামে। হঠাৎ করে পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ শুরু করে। এতে আমাদের ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় তাদের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামায়াত নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এমন কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।