আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে কাদের আঘাত এলে সমুচিত জবাব

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বিএনপির গণমিছিলের দিন নৈরাজ্য প্রতিরোধে শুক্রবার পুরো ঢাকা মহানগরীর রাজপথের অধিকাংশ এলাকা ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দখলে। বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মহানগরীর নয়টি স্পটে আয়োজিত বিশাল বিশাল সমাবেশে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আর কোনো ছাড় নয়। আমরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবো না। তবে আঘাত করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার, মিরপুর-১০ ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত তিনটি শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে, এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে, তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না, উল্টো রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে। আমরা কাউকে আক্রমণ করব না, তবে আক্রান্ত হলে কোনো ছাড় দেব না। এদিকে, বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। নগরীর প্রতিটি পাড়া-মহল্লা, থানা-ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দিনভর সতর্ক অবস্থান নিয়ে সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। তবে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়সহ যাত্রাবাড়ীতে ২টি সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। একইভাবে দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬১০টি ইউনিট, ৭৫টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানার নেতারা পৃথক কর্মসূচি পালন করেন। ৭টি স্পটে সমাবেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এতে ৫৪টি ওয়ার্ড ও ২৬টি থানার নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তবে এই ৯টি স্থানের আশপাশে কোথাও গণমিছিল কিংবা সমাবেশ করতে দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াতকে। শ্যামলী ছাড়াও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবস্থানের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) ঢাকা ছিল আওয়ামী লীগের মিছিলের নগরী। সারা ঢাকায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। তাদের রুখতে হবে, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে, স্বাধীনতা বিরোধীদের রুখতে হবে। হাওয়া ভবন, লুটেরাদের রুখতে হবে। প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) বলে রাষ্ট্র মেরামত করবে। বিএনপিই এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, রাষ্ট্রের স্বাধীনতার আদর্শকে ধ্বংস করেছে, রাষ্ট্রের অর্থ পাচার করেছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের মুক্তি চায়, ভালো। ফখরুল তাদের বন্ধু, তাদের শুভাকাক্সক্ষী। তিনি অসুস্থ, আমরা জানি না। বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন তিনি নাকি অসুস্থ। এই বাংলাদেশে যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কি আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? আমি জানতে চাই কোথায় ছিল প্রতিবাদ? জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ। আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কি প্রতিবাদ করেছিলেন?’ সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সতর্ক আছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়াবো না। তবে আঘাত করা হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি জীবনেও মেগা প্রকল্প করতে পারবে না দাবি করে তিনি বলেন, বিষোদগার আর লিপ সার্ভিস ছাড়া আপনাদের কি আছে? নির্বাচনে বাংলার মানুষ আর বিএনপিকে ভোট দেবে না। শ্যামলী স্কয়ারে অনুষ্ঠিত শান্তির এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ। জানমালের ক্ষতি করলে কঠোর হস্তে দমন-নানক ॥ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সার্বক্ষণিক লড়াই করে যাচ্ছে। এই লড়াই সংগ্রাম আমাদের চলবে। আন্দোলন-সংগ্রামের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা সব সময় লড়াই করে আসছি। প্রতিনিয়ত, প্রতিক্ষণ আমরা লড়াই করছি। এদের মূল উপড়ে ফেলতে হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতি ম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার ও আক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ। সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেন, বিএনপির কর্মসূচি আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করি না। এটা বিএনপির ফাঁকা আওয়াজ। ১০ ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত গরুর হাটে গিয়ে তাদের সভা করতে হয়েছে। আজও তারা গণমিছিলের ডাক দিয়েছে। ঢাকার মানুষ তাদের পক্ষে নেই। হুংকার দিয়ে মাঠে থাকতে পারবে না। আমরা রাজপথে আছি। জনগণের জান-মাল রক্ষা করার পবিত্র দায়িত্বে আমরা রয়েছি। যদি তারা মিছিলের নামে, সভার নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- করে তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির জোট কিছু দিন পর পর সাপের মতো চামড়া বাদলায়। সাপ যেমন কিছু দিন পরপর চামড়া বদলায়, বিএনপিরও একই দশা। কোনো সময় ২০ দল হয়, কোনো সময় ২৪ দল হয়, আবার ১২ দল হয়। এখন বলছে ৩৩ দল। এই ৩৩ দলের মধ্যে ৩০ দল খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, বিএনপির গণমিছিল নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত। আজ তাদের গণমিছিলে ঢাকা শহরের মানুষ আতঙ্কিত। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করব। আ’লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই - ডা. জালাল ॥ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু। স্থানীয় কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ অনুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। বক্তব্য রাখেন দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, সাবেক সদস্য সানজিদা খানম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, ডেমরা থানা সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল প্রমুখ। ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী তা আওয়ামী লীগই জানে। মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মাধ্যমেই দলটির জন্ম। কাজেই আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। যতদিন এই দেশের মানুষ চাইবে, আওয়ামী লীগ ততদিন ক্ষমতায় থাকবে। কেউ হটাতে পারবে না। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ৩০ দলীয় জোট কেন ১৩০ দলীয় জোট করলেও বিএনপি আওয়ামী লীগের কিছু করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক অনেক গভীরে। বিএনপি আগে ছিল চার দলীয় জোট, এরপর হলো ২০ দলীয় জোট। তারপর শুনলাম সেই জোট ভেঙ্গে দিয়ে ছোট ছোট জোট হবে। আজ আবার শুনলাম ৩০ দলীয় জোট করেছে। আমি বিএনপি নেতাদের বলতে চাই ৩০ দলীয় জোট কেন ১৩০ দলীয় জোট করলেও বিএনপি আওয়ামী লীগের কিছু করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সারা রাজধানীতেই ছিল মিছিল, সমাবেশ ॥ এদিকে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদসহ অন্যান্য নেতারা ফার্মগেটে এবং মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে শান্তির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, আইন সম্পাদক নজিবুল্লা হীরু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা কয়েকটি স্পটে সমাবেশ করে। মহাখালীতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবু-উল আলম হানিফ, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা খানমের নেতৃত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা অংশ নেন। রামপুরা বাড্ডা ইউলুপে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক সামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে। গাবতলীতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক সদস্য সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, সাবেক এমপি সাবিনা আকতার তুহিন শান্তি সমাবেশে অংশ নেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ধর্ম সম্পাদক সারাজুল মোস্তফা রাজধানীর উত্তরায় অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান। ধোলাইরপাড়, শনিরআখড়ায় নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল থেকে ব্যাপক শোডাউন করে ডেমরা থানায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল মোল্লা। যাত্রাবাড়ী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের নেতৃৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেয়। এদিন ঢাকা ম্যাচ এলাকায় মহাসড়কের পাশে কয়েকশ’ নেতাকর্মী নিয়ে সকাল থেকে অবস্থান নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক। শাহবাগে ‘সতর্ক পাহারায়’ ছাত্রলীগ ॥ রাজধানীতে বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী জোটের গণমিছিলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সতর্ক পাহারা’ বসিয়েছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন। সংগঠনটি এই পাহারাকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় উদ্যাপন’ এবং ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-দেশবিরোধী কর্মকা-ের’ প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে জুম্মার নামাজের পরই শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা। জাদুঘরের সামনে বসানো হয়েছে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, গণতন্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের মোকাবিলা করার বিষয়টিকে ছাত্রসমাজ নৈতিক দায়বদ্ধতা বলে মনে করে। সেই জায়গা থেকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা, নিজেদের ভবিষ্যৎকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে ছাত্রসমাজ অপশক্তিকে প্রতিরোধের জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।