লাকী আক্তারের মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান সিপিবির

৫ মে, ২০২৫ | ৫:০১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতির অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তারের নামে শাহবাগ থানায় করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সিপিবি। একই সঙ্গে নাট্যকার মামুনুর রশিদসহ অন্যান্য নিরপরাধ রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রোববার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে নানাভাবে অভ্যুত্থানকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের মানুষের এই গণতান্ত্রিক অর্জনকে ভূলুণ্ঠিত করার জন্য নানা কৌশল ব্যবহার করছে। মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের সঙ্গীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে। হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে হত্যাকাণ্ড অপরাধের গুরুত্ব, প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার চেষ্টা ও মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে। এই অপশক্তি নানাভাবে সাংস্কৃতিক কর্মী, সাংবাদিক, ঘটনাবলীর সঙ্গে জড়িত নয় এমন রাজনীতিকদেরও হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি অংশ সিপিবি কর্মী লাকী আক্তারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার হুমকি ও মিথ্যা প্রচারণা করছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, যে সময় লাকী আক্তার ফ্যাসিস্ট হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয়, সেই সময় তাকে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ এমন অনেককে আসামি করা হয়েছে, যা দেখে বোঝা যায় এ মামলা বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিবৃতিতে সিপিবি নেতারা বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই- এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে লাকী আক্তারের যুক্ত থাকার প্রশ্নই ওঠে না। এমন মামলা লাকী আক্তার ও সিপিবির বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডগুলোকে গুরুত্বহীন ও প্রশ্নবিদ্ধ করারও একটি প্রক্রিয়া হিসেবে বিবেচিত। অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে এ মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় এ দায় তাদের নিতে হবে। শুধু লাকী আক্তার নন, আরও অনেকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ন্যূনতম যুক্ত থাকার সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও অনেকের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর ফলে প্রকৃত অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়া ও বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নানাভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা চালিয়েছিল তাদের নানাভাবে জায়েজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, একাত্তরের নৃশংসতম গণহত্যাকারীদের বাংলাদেশে কোনো ঠাঁই হবে না। গণআদালত ও গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের চেতনা অব্যাহত রাখতে হবে। একইসঙ্গে ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।