চুল ও ত্বকের জন্য বেল কতটা উপকারী

৪ মে, ২০২৫ | ৩:৫৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গরমের সময়ে এক গ্লাস ঠান্ডা বেলের শরবত; আহ প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। তাপপ্রবাহের অস্বস্তি ও রোদের জ্বালাপোড়া ভাব— একমুহূর্তে সব দূর করে দিতে পারে এক গ্লাস বেলের ঠান্ডা শরবত। পুষ্টিগুণে ভরপুর বেল যে স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা বলে শেষ করা যাবে না। এই বেল পেটে পড়লে চুল ও ত্বকও ঔজ্জ্বল্য ফিরে পায়, তা কি আপনি জানেন? বেলে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি ত্বকের সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। আর ত্বকের একাধিক রোগ নিরাময় করারও ক্ষমতা রয়েছে বেলের। সেই সঙ্গে চুলেরও অনেক রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে বেল। জেনে নিন ত্বকের জন্য বেল কেন জরুরি— ত্বকের র্যাশ দূর করে বেল। বেলগাছের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরিতে প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে বলে তা ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য খুব কার্যকরী। শুধু বেল নয়, বেলের পাতা ও বেলের তেল ক্ষতিকারক ছত্রাককে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচানো যায় ত্বককে। বেল ত্বকের র্যাশ ও চুলকানি কমাতেও সাহায্য করে। আর ত্বকে প্রদাহ নাশ করে বেল। বেলের শিকড়, গাছের খোসা, পাতায় থাকে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও প্রদাহনাশক, তা ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকে লাল ভাব দেখা দিলে অথবা ফুলে গেলে বেল খেতে পারেন। এসব সমস্যা সারিয়ে দিতে পারে বেল। এ ছাড়া কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে বেল। বেলের রসে রয়েছে ভিটামিন 'সি' ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে বলে বেল খেলে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য ফিরে আসে। এর পাশাপাশি বয়সের ছাপও খুব দ্রুত পড়ে না। এদিকে চুলের জন্য বেল ভীষণ উপকারী। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে তো অবদান রয়েছেই। তবে প্রাচীনকাল থেকেই চুলকে মজবুত করতে বেলের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। বেলগাছের অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্যের ফলে ফলিকিউলাইটিস, চুলকানি, খুশকির মতো মাথার ত্বক ও চুলের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দিয়ে চুলের ফলিকলগুলোকে সক্রিয় করে তোলে। মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মজবুত করে চুলকে। স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ স্বাভাবিক করে, সেই সঙ্গে মানসিক চাপের কারণে চুল পড়ার সমস্যা থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায়।