ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি, এবার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৭:০০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা যে নির্দেশনা দিয়েছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখছি। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন। ২০২২ সালের মধ্যেই তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তা হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন। দীপু মনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়ে গেছি। এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পালা। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার ডিজিটাল বাংলাদেশকে উদ্ভাবনীর বাংলাদেশ তৈরি করে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ করবেন। এর ফলে আমরা সবদিক থেকে চৌকষ হব। আমাদের শিক্ষা হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের গভর্নেন্স হবে স্মার্ট, আমাদের ব্যবসা-বানিজ্য হবে স্মার্ট। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করবো। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হবে সবার আগে শিক্ষাটাকে স্মার্ট হতে হবে। আমরা শিক্ষাটাকে স্মার্ট বানাবার জন্যই কয়েক বছর ধরে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেভাবে শিক্ষাকে প্রধান্য দিতেন, ঠিক সেভাবেই তাঁর কণ্যা শেখ হাসিনা শিক্ষার উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে সার্বিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, শিক্ষানীতি করেছেন। একটি সাধারণ দেশের উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়বার জন্য বঙ্গবন্ধু কণ্যা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য আমাদের নানা রকমের নীতিমালা করা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষায় ২০৩০ পর্যন্ত যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেগুলোর সব অনুসরণ করবার আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের জাতীয় পর্যায়ের অনেকগুলো লক্ষ্য ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অঙ্গীকার রয়েছে সেগুলো আমাদের পূরণ করতে হবে। যেমন ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য তা আন্তর্জাতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ সেটি আমাদের অর্জন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। এজন্য উচ্চশিক্ষার বড় ভূমিকা রয়েছে। এই উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের স্বপ্ন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় একটি অংশ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সন্তান। এই সন্তানরাই আমাদের দেশটাকে পাল্টে ফেলতে পারে। বিসিএসের গত কয়েক বছরের ফলাফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এই বিশ^বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্লানের কাজ অনেকটা এগিয়েছে। তারা নিরন্তর চেষ্টা করছে বিশ^বিদ্যালয়ের মান উন্নয়নে। তারা খুব শিগগিরই ১৯টি দক্ষতাভিত্তিক শর্টকোর্স চালু করতে যাচ্ছে। এসব নতুন নতুন কোর্স চালু হয়ে গেলে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের সাফল্য সারাদেশকে পথ দেখাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগভিত্তিক যে আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস করা হলে আরও ভালোভাবে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। আমরা যে বিষয়েই পড়ি না কেন আমাদের আইসিটি, সফ্ট স্কিল-এসবের দক্ষতা থাকতে হবে। এগুলো প্রত্যেক বিভাগের মধ্যে এমভেড করে দিতে হবে। এসকল কার্যক্রমের মাধ্যমেই মানবিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি হবে। মন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষতার দিকে দেখছি। দক্ষতা ছাড়া শুধু শিক্ষা, দক্ষতা থাকবে না তাহলে লাভ নেই। দক্ষতার জায়গায় আমরা অনার্স-মাস্টার্সের দিকে বেশি ঝুঁকে না পড়ে কি করে নিজের এবং অন্যেরও কর্মসংস্থান করতে পারি, দেশে-বিদেশে কি করে কর্মউপযোগী হয়ে উঠতে পারে সেই চিন্তাভাবনা থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ১২টি বিষয়ে চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দক্ষ, যোগ্য, মানবিক, সৃজনশীল মানুষ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন) ড. নাসিম বানু, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।