লোহিত সাগরে মার্কিন তেল পরিবহণ নিষিদ্ধ করল ইয়েমেন

মার্কিন আগ্রাসন ও ইয়েমেনের বেসামরিক জনগণ ও অবকাঠামোর ওপর লাগাতার হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির সরকার যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল পরিবহনের ওপর একটি সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইয়েমেনের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় কেন্দ্র (এইচওসিসি) শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, মার্কিনবিরোধী এই নিষেধাজ্ঞাটি ১৭ মে থেকে কার্যকর হবে। খবর প্রেস টিভির। এইচওসিসি–এর নির্বাহী পরিচালক জানান, ‘মার্কিন শত্রু’ ইয়েমেনের বিভিন্ন প্রদেশে ধারাবাহিক বিমান হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। এতে শত শত মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কিন শত্রু গত ১৭ এপ্রিল আল-হুদায়দা প্রদেশের রাস ইসা তেল বন্দরে বেসামরিক স্থাপনা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে একটি ভয়াবহ হামলা চালায়। যা মানবতার বিরুদ্ধে অন্যতম নিকৃষ্ট হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত। তেমনি ইয়েমেন সরকারেরও অধিকার রয়েছে সেই সব অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের জবাব দেওয়ার। যা আমেরিকান শত্রু ইয়েমেনি জনগণ, তাদের অবকাঠামো ও সম্পদের বিরুদ্ধে চালিয়েছে’। ইয়েমেনের এই ঘোসণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল (এইচএস কোড ২৭০৯.০০) নির্বিচারে রপ্তানি, পুনঃরপ্তানি, স্থানান্তর, লোডিং, ক্রয় বা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হলো। তা সরাসরি হোক বা পরোক্ষভাবে, এমনকি জাহাজ থেকে জাহাজে স্থানান্তরের মাধ্যমেও। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে হলেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এইচওসিসি প্রধান সতর্ক করে বলেন, যারা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে, তাদেরকে ইয়েমেনের ‘আক্রমণকারী পক্ষের তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ধরনের কোম্পানির মালিকানাধীন বা পরিচালিত জাহাজকে লোহিত সাগর, বাব আল-মানদেব প্রণালী, অ্যাডেন উপসাগর, আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ জলপথ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে যে, মানবিক উদ্দেশ্যে বা মার্কিন নীতির বিরোধিতাকারী দেশ ও কোম্পানিগুলো আবেদন করলে বিশেষ ক্ষেত্রে অব্যাহতি বিবেচনা করা হবে।