কে হচ্ছেন নগরপিতা নতুন না পুরোনো

২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

রংপুর সিটি করপোরেশনে (রসিক) নগরপিতার প্রত্যাবর্তন নাকি পরিবর্তন-সেই সিদ্ধান্ত আজ। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে টানা ভোটগ্রহণ চলবে। ওই ভোটের রায়ে নির্ধারণ হবে কে হচ্ছেন তৃতীয় নগরপিতা। মেয়র পদে নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত আলোচনায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সদ্যবিদায়ি মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান (মোস্তফা), আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং এ দলের বহিষ্কৃত নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী মো. লতিফুর রহমান (মিলন)। স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এ নির্বাচনে মেয়রের চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীরা বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছেন। মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আলোচনাও কম। কারণ হিসাবে তারা জানান, প্রচারণায় বড় ধরনের কোনো শোডাউন করেননি কোনো মেয়রপ্রার্থী। জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিদায়ি মেয়র হিসাবে দীর্ঘদিন মাঠে রয়েছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবারই প্রথমবার এ পদে নির্বাচন করছেন। যদিও তিনি বিগত জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ-সদস্য ছিলেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান দীর্ঘদিন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় অনেকটা কোণঠাসা। তাদের প্রচারণায় কোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখননি নগরবাসী। সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের পর্যবেক্ষণেও এটি উঠে আসে। সংগঠনটি বলেছে, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রবল নয়। ভোটারদের ধারণা, কী ফলাফল হবে, তা আগেই নির্ধারিত।’ মেয়র পদে নির্বাচনের নিরুত্তাপ প্রসঙ্গে রংপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি কাজী মোহাম্মদ জুন্নুন বলেন, বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে যেটা মনে হয়েছে মেয়র পদে কে নির্বাচিত হবেন, তা আগে থেকেই ধারণা করা যাচ্ছে। যেহেতু সরকারি দলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সুসম্পর্ক রয়েছে, তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা মিটিয়ে দিচ্ছেন, সে কারণে আরও স্পষ্ট যে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ ছাড় দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করার রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষেই যাবে তেমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের রংপুর জেলা সভাপতি অভিনেতা বিপ্লব প্রসাদ বলেন, মেয়রপ্রার্থীরা সংযত ছিলেন। নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। কেউ কাউকে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেননি। এ কারণে তাদের নিয়ে আলোচনা কম। অনেকেই একতরফা ফলাফল হবে-এমনটি চিন্তা করছেন। তবে আমি মনে করি, অন্তত তিনজন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদে উত্তাপ না থাকায় সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ হবে বলে আশা করছেন তারা। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১১টিতে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ভোটের দিন ঝামেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এ নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৮৩ জন সাধারণ ও ৬৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রায় সব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। ২০-২৫টি ওয়ার্ডে দুই দলের পদধারী নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের অনুসারীদের মধ্যে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের মনোভাব রয়েছে। ভোটের আগের দিন সোমবার রিটার্নিং, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিকভাবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। ওই পর্যালোচনা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব বিষয় উঠে আসে। ভোটের সময় ওই ১১টি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশি বেশি টহল দিতে বলা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন। ওয়ার্ডগুলো হচ্ছে ৪, ৫, ৬, ১৫, ১৯, ২০, ২৭, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৩৩। এর মধ্যে ৩১ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জামায়াত-বিএনপির আধিপত্য বেশি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন বলেন, পুরো নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। তবে কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় থাকা নির্বাচন কমিশন (ইসি) রংপুর সিটি করপোরেশনে এর পুনরাবৃত্তি চায় না। এ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ১৮০৭টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার ইসির কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি মনিটরিং করবেন। এ বিষয়ে সোমবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা খানম বলেন, আমরা সিসিটিভির মাধ্যমে সব কেন্দ্র নিবিড় পর্যবেক্ষণ করব। গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের মতো কোনো সমস্যা দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা গাইবান্ধার নির্বাচনে অনিয়মের ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। রংপুরেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সিটিতে তৃতীয়বারের মতো আজ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আগের দুই নির্বাচনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে। এ উপলক্ষ্যে সাড়ে তিন হাজার ইভিএম রংপুরে আনা হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনি মালামাল পৌঁছে গেছে। রাতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখেন। এবার নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ১২ হাজার ৩০৩ জন, নারী দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৬ জন এবং হিজড়া ১ জন। গত নির্বাচনের চেয়ে এবার ৩০ হাজারের বেশি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। নির্বাচনে ২২৯ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ চার হাজার ২৭৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রংপুর-৩ আসনের আওতাধীন এ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২০১৮ সালেও ইভিএমে ভোট হয়েছিল। ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে নির্বাচনি এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে মোট নয়জন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। বাকি ছয়জন হলেন-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল (হাতপাখা), জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন (গোলাপ ফুল), জাসদের শফিয়ার রহমান (মশাল), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান রাজু (দেয়াল ঘড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান (ডাব) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি (হরিণ)। দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি নির্দেশনা : ভোটকক্ষের গোপনরুমে প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা এবং পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ না করার নির্দেশনা দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। পুলিশ লাইনস মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় গোপন কক্ষে একজনের বেশি প্রবেশ করলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো ভোটার অন্ধ বা বয়স্ক হলে তার পরিচিত ভোটার গোপনকক্ষে যেতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনারা এই নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। দায়িত্বে অবহেলা হলে ডিপার্টমেন্ট কোনো দায় নেবে না, কাজেই নির্বাচনি বিধির মেনে সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর যদি কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে, তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ওই ব্রিফিংয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। বিগত নির্বাচনগুলোতেও দায়িত্ব অবহেলায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি, এবারও দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া মাঠে সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। নিরপেক্ষভাবে সার্ভিস রুল মেনে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যদি কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটানোর চেষ্টা করেন তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান নেবে না। তিনি বলেন, নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। এছাড়া প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতি ২টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র?্যাবের দল থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র?্যাব-পুলিশের টিম সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ৪ জন অস্ত্রসহ পুলিশ, দুজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ সদস্যদের কারও কাছ থেকে কোনো খাদ্য গ্রহণ না করা আহ্বান জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, এ ধরনের কোনো ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হলে সেই সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুয়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আটক : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণের আগের দিন লাল্টু ইসলাম রানা নামে এক ভুয়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকালে নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক লাল্টু ইসলাম রানা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার এনতাজ জোয়ার্দারের ছেলে। তার কাছ থেকে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আইনে যেকোনো সময় ভোট গণনা বন্ধ রাখতে পারেন প্রিজাইডিং অফিসার’ লেখা প্যাডের পাতা, আইডি কার্ড ও সিল উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকালে লাল্টু ইসলাম রানা মন্দিরা এলাকায় গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান আহমেদকে নির্বাচনে জয়ী করার কথা বলে টাকা দাবি করেন। এতে সন্দেহ হলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাহিগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন ওই কাউন্সিলর প্রার্থী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, নগরীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে লাল্টু ইসলাম রানা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তিনি নিজেকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। একনজরে বিগত দুই নির্বাচন : ২০১২ সালের ২৮ জুন ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেবার এক লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট। ওই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন তিন লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭৯ হাজার ১২৮ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৮ হাজার ৬১৪ জন। এরপর ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এক লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট। ওই বছর ভোটার সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ ও নারী এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।