মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধে খতিবকে মারধর

২ মে, ২০২৫ | ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মাদারীপুর বড় মসজিদে নবগঠিত কমিটি নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় মসজিদের খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমীকে মারধর করা হয়। যুবদল, ছাত্রদল ও বিএনপির তিন নেতার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে কমিটির লোকজন দাবি করেন। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় বড় মসজিদের কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে মুসল্লি ও মাওলানাদের না রেখে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং আওয়ামীপন্থিদের রাখা হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন। এ নিয়েই বিবাদ শুরু হয়। শুক্রবার জুমার নামাজে খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমী খুতবা দিচ্ছিলেন। খুতবা পড়ার শেষ মুহূর্তে মসজিদে উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন হাওলাদার, যুবদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফকু, জেলা ছাত্রদলের সচিব কামরুল ও সাবেক খতিবের ছেলে এনায়েত উল্লাহর নেতৃত্বে খুতবার মিম্বার থেকে টেনেহিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা করেন। এতে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ নিয়ে দুটি পক্ষ হয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমীকে কিল-ঘুসি মারা হয় এবং তার পাগড়ি ও পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। পরবর্তীতে মুসল্লিরা ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মসজিদ থেকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে পুরান বাজারসংলগ্ন কাঠপট্টি গদি মসজিদের সাবেক ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম জুমার নামাজে ইমামতি করেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি আগেও মসজিদ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলাম। বর্তমান নতুন কমিটিরও সিনিয়ন সহ-সভাপতি হয়েছি। খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমী যে কমিটি করেছেন তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। সেই কমিটি স্থগিত করে নতুন করে কমিটি করার কথা এবং এই শুক্রবার তাকে মসজিদে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল; কিন্তু তিনি মসজিদে এসেছেন এবং খুতবা দিয়েছেন। এ সময় মসজিদে হট্টগোল শুরু হয়। আমি তখন খতিবকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। আমি তাকে হামলা করিনি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। সদর থানার ওসি আদিল হাসান জানান, মসজিদে কমিটি নিয়ে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা খতিব যুবায়ের হাসান কাসেমীকে হট্টগোলের মধ্য থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।