ব্যবসার নামে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ, আটক ২

২৫ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১০:২৪ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভরসা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় এমএলএম ব্যবসার অফিস খুলে অল্প বয়সী যুবক ও যুবতীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানা পুলিশ প্রতারক নয়ন ও মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভরসা সুপার মার্কেটের মালিক মোশাররফ হোসেন (৫০) ও তার ব্যবসায়ীক অংশীদার নয়ন। তারা দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্রের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভরসা সুপার মার্কেটের বেশ কয়েকজন মালিকের মধ্যে মো. মোশাররফ হোসেন, তার সহযোগী নয়ন ও সৌরভসহ এমএলএম ব্যবসার নামে প্রতারণা করে আসছিল। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে অল্প বয়সী যুবক-যুবতীদের ডেকে এনে তাদের কাছ থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়। এছাড়া ৩-৪ টি ব্যাচে ছেলে ও মেয়ে মিলে প্রায় ২০০ জনের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। প্রতারণার ফাঁদ খুলে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎকারী মোশাররফ হোসেন এর আগে একটি ব্যাচের ৭০ জনের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা দিয়েও ফেরত দেয়নি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা গত ২-৩দিন থেকে মার্কেটের ওপরে তৃতীয় তলায় মোশাররফের বাসার সামনে ভুক্তভোগীরা অবস্থান নেয় এবং বিক্ষোভ করে। এঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নয়ন, মোশাররফ ও সৌরভসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ নয়ন ও মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করে। তবে এঘটনায় এখনও গ্রেফতার এড়াতে সৌরভ নামে আরেক প্রতারক পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগী কাওছার আহম্মেদ জানান, আমাদেরকে বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে এনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতিজন থেকে ৪০-৫০ হাজার করে টাকা নিয়েছে তারা। আমরাসহ অন্য ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও মার্কেট মালিক মোশাররফ হোসেনসহ তার সহযোগীরা টাকা ফেরত দেয়নি। আমরা এই প্রতারকদের সুষ্ঠু বিচার ও টাকা ফেরত চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কেট কমিটির এক সদস্য বলেন, চক্রটি প্রথম থেকে একবার এক নামে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। এতে তারা কোনো সাইনবোর্ড ব্যবহার করেনি। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।