রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তারা অবস্থান নেন। পরে সেখানে বর্তমান শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। অবস্থান কর্মসূচির এক পর্যায়ে আসরের নামাজ আদায় করেছেন তারা। এদিকে বিকাল পৌনে ছয়টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাসভবনের ভেতর প্রবেশ করেন। অন্যদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ব নির্ধারিত তারিখে রুয়া নির্বাচনের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বিক্ষোভ সমাবেশে তারা ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘সিন্ডিকেট না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’, ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’ ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। কর্মসূচিতে রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজকে রুয়া নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীরা মনক্ষুণ্ণ হয়েছে। যেই প্রশাসন রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না তারা কিভাবে রাকসু নির্বাচন বাস্তবায়ন করবে। আমরা নির্ধারিত সময়ে রুয়া নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েই এখান থেকে প্রস্থান করব। তা না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম শহীদ বলেন, আমরা জুলাইয়ের জাগরণ আমাদের মনে গেঁথে আছে জুলাই। আমাদের গুলি, হামলা, মামলা ও বোমা মেরে উৎখাত করা যাবে না। রুয়া ইলেকশন দিতে হবে, যথা সময় দিতে হবে। নয়তো আমাদের আন্দোলন চলছে, আমাদের আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সাবেক শিক্ষার্থীরা। এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেইসঙ্গে বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করে রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ও সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।