অর্থনীতিতে আসছে কঠিন চ্যালেঞ্জ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:৩৬ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

আগামী বছর (২০২৩) কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বৈশ্বিক ও দেশে বিদ্যমান প্রতিকূল পরিবেশের কারণেই মূলত এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে দেশ সবচেয়ে বড় সংকটে পড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে। পাশাপাশি টাকার মান আরও কম ও মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ারও শঙ্কা রয়েছে। এতে ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়ে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেবে। কমে যাবে জীবনযাত্রার মান। বাধ্য হয়ে খরচ কমাতে হবে পুষ্টি ও বিনোদন খাতে। শিক্ষায়ও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগের গতি হবে মন্থর। ফলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পড়বে বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে মানুষের আয় কমে যাবে। বাড়বে খাদ্যের দাম। ফলে স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সক্ষমতা হারাবে অনেক মানুষ। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মানুষের শারীরিক গঠনেও। বৈশ্বিকভাবেও একই অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে-এমন পূর্ভাবাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক বহুজাতিক সংস্থা-জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা (এফএও), বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ)। স্থানীয়ভাবেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী বছরে বাংলাদেশকে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর বাইরে নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ দেখা দিয়েছে। যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিশ্চয়তা ও বাধার সৃষ্টি করবে। আগামী বছর বাংলাদেশকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ আরও বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়া, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের বড় ধাক্কা সামাল দিতে হবে। এর সঙ্গে বিনিয়োগ কমে কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব পড়া, আমদানি কমায় দেশীয় শিল্পে সংকট আরও বাড়ার নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী বছরে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো ইতোমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন সরকারকে সেগুলো মোকাবিলা করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার যত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা করে এগুলো মোকাবিলা করতে পারে, তত দ্রুত অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ভোক্তারা স্বস্তি পাবেন। তিনি আরও বলেন, এখন টাকা পাচার, হুন্ডি বন্ধ, খেলাপি ঋণ ঠেকানো ও আদায় বাড়ানো জরুরি। তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা ও তারল্য সংকট হবে না। পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি বাড়াতে হবে। তাহলে মূল্যস্ফীতির হারও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই মন্দার মধ্যেও অনেক দেশের মুদ্রার মান বাড়ছে, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ভুটান, মালদ্বীপ, চীনের উদাহরণ দেখা যেতে পারে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর দেশ হওয়ার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে অর্থনীতিতে চাপ বেড়ে যায়। আমদানি ব্যয় বাড়লে রিজার্ভ কমে যায়। এতে টাকার মান কমে। ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতাও কমে। বাড়ে মূল্যস্ফীতির হার। এছাড়াও আমদানি পণ্যের মাধ্যমেও দেশে মূল্যস্ফীতিতে চাপ পড়ে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বর্তমানে বিশ্বেও ১০৪টি দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ডাবল ডিজিটের উপরে। এর মধ্যে চারটি দেশের ১০০ ভাগের উপরে রয়েছে। বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে ওইসব দেশেও মূল্যস্ফীতির হার বেশি। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে চীন থেকে। ওই দেশে মূল্যস্ফীতির হার ২ দশমিক ৮ শতাংশ। আগে ছিল ১ শতাংশের কম। এরপরেই ভারত থেকে বেশি আমদানি হয়। ওই দেশে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ব্রাজিলের মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৭ শতাংশ. যুক্তরাজ্যের ৯ দশমিক ১ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ, কানাডার ৭ দশমিক ৭ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ৭ দশমিক ১ শতাংশ। এসব দেশ থেকে পণ্য আমদানির নামে মূল্যস্ফীতি আমদানি করছে। ফলে দেশে এ হারে চাপ বাড়ছে। আগামী বছর ওইসব দেশে মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এতে বাংলাদেশেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে মন্দার কারণে রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের চেয়ে আয় কমে যাওয়ায় রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে গিয়ে মূল্যস্ফীতিতে চাপ বাড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম কমলেও দেশের বাজারে কমেনি। উলটো ডলারের দাম বাড়ার অজুহাতে এখন দাম আরও বেড়েছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় এগুলোর দাম কিছুটা কমেছে। ফলে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও এ তথ্য অনেকেই বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না। চালের ভর মৌসুমেও এর দাম না কমে বরং বেড়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও বেড়েছে। শীতের পরে পণ্যমূল্য আরও বাড়তে পারে। এছাড়া বৈশ্বিকভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা, স্থায়ীত্ব ও এর প্রভাব আগামী বছরে বেশি বাড়বে। ফলে চালসহ খাদ্য পণ্যের উৎপাদন কমবে, বাড়বে দাম। এতেও মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আইএমএফের মতে আগামী বছর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমদানি ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে রিজার্ভে চাপ বেড়েছে। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা কম হওয়ায় রিজার্ভ বাড়ানো যাচ্ছে না। উলটো কমছে। গত জানুয়ারিতে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৫২৬ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০১ কোটি ডলারে। আইএমএফের ঋণের শর্ত মানতে এ রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগ করা ৮০০ কোটি ডলার বাদ দিতে হবে। ফলে নিট রিজার্ভ থাকবে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। যা দিয়ে সাড়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। বিদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর হিসাবে (নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট) ডলার জমার পরিমাণও কমে গেছে। ফলে আমদানি ব্যয় মেটানোর চাপ বাড়ছেই। আগামী জুনের শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪ হাজার ২৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ ৪ দশমিক ৬ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বাস্তবে তা সম্ভব হবে না। আগামী বছরে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ মিলে প্রায় দেড় হাজার কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে। আমদানি ব্যয় বাবদও প্রতি মাসে গড়ে ৬০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে। এছাড়া বৈশ্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণ, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতেও ব্যয় বাড়বে। বৈশ্বিক মন্দা আগামী বছর আরও জেঁকে বসবে। চড়া মূল্যস্ফীতির হার ঠেকাতে উন্নত দেশগুলো সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতি সীমিত হয়ে গেছে। ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানিতে মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্সেও। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে গিয়ে রিজার্ভে চাপ বাড়াবে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার আরও অবমূল্যায়ন হবে। ডলার সংকটে এখন রপ্তানিকারক ও একেবারে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া অন্য পণ্যের এলসি খোলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে আমদানি করা পণ্যের মজুতও ফুরিয়ে এসেছে। ফলে আমদানি পণ্যের দাম লাগামীনভাবে বাড়ছে। এসব মিলে মূল্যস্ফীতির বড় ঝুঁকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। এতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়ে মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দেবে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৩ শতাংশ। গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ শতাংশ। রেমিট্যান্স ১৫ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ৬ মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে আমদানির প্রবৃদ্ধি ১২ শতাংশ সীমিত রাখার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বহুবিদ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ৭ শতাংশে সীমিত রাখা হয়েছে। কিন্তু রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি বাড়ায় বাণিজ্য কমেনি, বরং বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৯৫৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল ৯১৬ কোটি ডলার। বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবে ঘাটতি আরও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৪৫০ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে তা ছিল ৩৮৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরে এ ঘাটতি আরও বেড়ে যেতে পারে। ফলে ডলার বাজারে অস্থিরতা বিদ্যমান থাকবে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বৈশ্বিক আমদানির প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু আগামী বছরে তা কমে ২ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। একই কমবে রপ্তানিও। আইএমএফ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি বছরে তা কমে ১ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। এর মধ্যে আলোচ্য সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে ০.৫ শতাংশ হতে পারে। যুক্তরাজ্যের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ০.৩ শতাংশ হতে পার। বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ৬ শতাংশ হতে পারে। চীনের জিডিপি বেড়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। ভারতের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। ১৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আগামী বছর কৃষি উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কৃষি পণ্যের সরবরাহ কমে এর দাম বাড়তে পারে। ফলে অনেক দেশকে খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে স্বল্প আয়ের মানুষ ইতোমধ্যে খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দায় তাদের আয়ে চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য কিনতে পারছে না। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে খাদ্যেও সরবরাহ কমায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার মান কমেছে। ফলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে খাদ্যের দাম বেড়েছে। এতে স্বল্প আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার কিনতে পারছে না। চলতি বছরে জিডিপির হিসাবে বিনিয়োগ সরকারি খাতে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ ও বেসরকারি খাতে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কিন্তু অনিশ্চয়তার কারণে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে না। কর্মসংস্থানের ৯৫ শতাংশই বেসরকারি খাতে। ফলে এ খাতে নতুন কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে। করোনার আগে থেকেই কর্মসংস্থানের গতি মন্থর। করোনার কারণে ২০২০ সালে তা প্রকট হয়েছে। ২০২১ ও ২০২২ সাল জুড়েও তা অব্যাহত রয়েছে। ফলে এই সময়ে যারা চাকরির বাজারে এসেছেন তারা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাননি। এদের জন্য আগামী বছরও হবে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এটি সম্ভব হবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর পর্যন্ত শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে শিল্প খাতে পড়েছে। আমদানির এলসি খোলা আরও বাধাগ্রস্ত হবে আগামী বছরেও। এতে শিল্পে সংকট আরও বাড়বে।