হামাসের হাতে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে যে বার্তা দিলেন ইসরাইলি সেনাপ্রধান

২৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮:০৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)- এর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির সার্ভিস সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, গাজায় বন্দি থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, ইহুদি রাষ্ট্র এবং এর নাগরিকদের রক্ষা করা ও যুদ্ধে জয়লাভের জন্য আইডিএফ লড়াই করছে। ইসরাইলি রিমেমবার’স ডে এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তিনি এসব কথা বলেন। জামির বলেছেন, ‘আমরা একটি স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে লড়াই করছি - আমাদের মাতৃভূমির প্রতিরক্ষা এবং যুদ্ধে বিজয়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করা, শত্রুদের হাতে বন্দি আমাদের ভাই ও বোনদের ফিরিয়ে আনা এবং ইসরাইলের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার অনুভূতি ফিরিয়ে আনা। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেনাবাহিনী শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি সমর্থন, আলিঙ্গন এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। তিনি আরও প্রতিশ্রতি দেন যে, আইডিএফ অতীতকে স্মরণ করার, সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির বর্তমানের জন্য কাজ করার এবং আমাদের উপর অর্পিত ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার আমাদের নৈতিক কর্তব্য পালন করবে। ইসরাইলি এ সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শুরু করার আগে, ‘আমরা যখন আমাদের চোখ তুলে পতাকার দিকে তাকাই, যা এখন অর্ধনমিত তখন আমরা আমাদের কান্না থেকে মুক্তি পাওয়া, সমৃদ্ধ হওয়া এবং ইসরাইলি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ক্রমাগত বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫৩ হাজার ৩০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরাইল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারেরও বেশি।