নারী শিক্ষা নিয়ে তালেবানের সিদ্ধান্তের নিন্দা মুসলিম বিশ্বের

২২ ডিসেম্বর, ২০২২ | ১০:০০ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ করার তালেবানের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি, কাতারসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশ। মঙ্গলবার দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয় নারী শিক্ষা। পরদিনই তালেবানদের কড়া পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শত শত নারী শিক্ষার্থীকে। তালেবানের এমন সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল জাজিরার। আফগানিস্তানের নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান ও কাতার। এছাড়াও এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বৃহস্পতিবার তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা ইসলামসম্মত কিংবা মানবিক কোনো কাজ নয়। আমরা এ সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি না। ইনশাআল্লাহ, তালেবান এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবে।’ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আফগান নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ‘বিস্ময় ও দুঃখ’ প্রকাশ করেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে সৌদি জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘সব ইসলামিক দেশের জন্য আশ্চর্যজনক’। যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করা কাতারও এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেছে। এদিকে তালেবানের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিক্ষোভ করেছেন নারীরা। বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী কাবুলে বিক্ষোভ করে নারীরা। প্রায় ৫০জন নারী জড়ো হয় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। এসময় তারা ‘শিক্ষা আমাদের অধিকার’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিত, শিক্ষা আমাদের অধিকার’ ব্যানার হাতে তালেবানদের সামনে দাড়ানোর দুঃসাহসই দেখিয়েছেন আফগান নারীরা। শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০জন নারী। আগের দিন ছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে পূর্ব আফগানিস্তানের নানগারহার মেডিকেলের ছাত্ররা তাদের নারী সহপাঠীদের বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জন করে। প্রতিবাদ জানায়, কান্দাহারের ছাত্ররাও। ২৫ বছর বয়সী জিয়া বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীরা এসে পরীক্ষায় না বসতে আহ্বান করেছিলো। তখন পুরুষ শিক্ষার্থীরা সাহস দেখিয়ে পরীক্ষার স্থান ত্যাগ করে।’