আবার ‘আন্ডাররেটেড’ তাইজুলের বন্দনায় মুখর তামিম

তাইজুল ইসলাম। বহু বছর ধরে বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য। পারফর্ম করেই দলে টিকে রয়েছেন। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সোমবার (২৮ এপ্রিল) ক্যারিয়ারে ১৬তম বারের মতো পেলেন ইনিংসে পাঁচ উইকেটের দেখা। কিন্তু তবুও কেন যেন তাইজুল দেশের ক্রিকেটের তথাকথিত ‘সুপারস্টার’-এর ব্র্যাকেটে পড়েন না। ক্যারিয়ারের একটা বড় সময় সাকিব আল হাসানের ছায়ায় ছিলেন জাতীয় দলে। শুধু সাকিব অনুপস্থিত থাকলেই তার দিকে দৃষ্টি পড়ত। সাকিবের টেস্ট থেকে অবসরের পর এখন তাইজুল-ই দেশের এক নম্বর বাঁহাতি স্পিনার। নিয়মিত পারফর্ম করে এই তকমাটা অর্জন করে নিয়েছেন তিনি। কিন্তু তবু কোথাও যেন তাইজুল ঠিক নিজের প্রাপ্য সম্মান পান না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাইজুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর এই স্পিনারকে নিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এ মুহূর্তে সে বিশ্বের সবচেয়ে আন্ডাররেটেড বোলার। এখনকার অন্যান্য বোলারের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথা বুঝতে পারবেন। আরও একবার পাঁচ উইকেট, দারুণ করেছো তাইজুল।’ তাইজুল বরাবরই তামিমের প্রিয়পাত্র। গত বছরের অক্টোবরে তাইজুলের ২০০তম টেস্ট উইকেটের কীর্তিতে অভিনন্দন জানিয়ে তামিম লিখেছিলেন, 'অভিনন্দন তাইজুল ইসলাম। ২০০ টেস্ট উইকেট মানে বাংলাদেশের বাস্তবতায় দারুণ এক অর্জন। ৪৮ টেস্ট খেলে ২০০ উইকেট নেওয়া মানে আরও বড় অর্জন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যথেষ্ট গুরুত্ব ও প্রাপ্য সম্মান সে সবসময় পায় না। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেও নায়কের মর্যাদা সেভাবে অনেক সময় পায় না। তবু নিজের কাজটুকু করে গেছে, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।’ তাইজুলকে গ্রেট বোলারদের সাথে তুলনা করে তামিম লিখেছিলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, বিশ্ব ক্রিকেটেও যথেষ্ট আলোচনা তাকে নিয়ে হয় না। অথচ অনেক গ্রেট বোলারের চেয়েও কম টেস্ট খেলে ২০০ উইকেট হয়ে গেল তার। বড় কোনো দলের ক্রিকেটার হলে হয়তো তাকে নিয়ে আলোচনা আরও বেশি হতো।’ সেদিন তাইজুলকে বিশ্বের সেরা স্পিনারদের একজন বলেছিলেন তামিম। তার ভাষায়, ‘তাইজুলের পরিসংখ্যান বলে, গত ১০ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা স্পিনারদের একজন সে। তার পারফরম্যান্স, একাগ্রতা ও নিবেদন বলে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সে অমূল্য এক সম্পদ। আবারও অভিনন্দন তাইজুল। পথের এখনো অনেক বাকি।’