এবার ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের

ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে ৩০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি পর চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এবার তিনদিনের একটি যুদ্ধবিরতি পালনের ঘোষণা দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আসন্ন মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এ যুদ্ধবিরতি পালন করা হবে। ক্রেমলিন সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবৃতিতে ক্রেমলিন জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মিত্রদের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী স্মরণ উপলক্ষ্যেই এ যুদ্ধবিরতির পালন করা হবে। বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় আগামী ৭ মে দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত (মোট ৭২ ঘণ্টা) এ যুদ্ধবিরতি বলবৎ থাকবে। ইউক্রেনকেও এই যুদ্ধবিরতি যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে রাশিয়ার পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে, যদি ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে, তাহলে রুশ বাহিনী ‘যথাযথ ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া’ জানাবে বলেও সতর্ক করেছে ক্রেমলিন। প্রেক্ষাপট: রাশিয়া এবং সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা বেশিরভাগ দেশে ৯ মে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়। দিবসটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির আত্মসমর্পণের স্মরণে পালিত হয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশাল আত্মত্যাগ ও বিজয়ের প্রতীক। এ বছর এই ‘বিজয় দিবস’ উদযাপন বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এটি যুদ্ধের ৮০তম বার্ষিকী। তবে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার সম্পর্কের যে উত্তেজনা চলছে, তার মধ্যে এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান আন্তর্জাতিক মহলে বিশেষ মনোযোগ কেড়েছে। যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা: সম্প্রতি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ২৪ এপ্রিল কিয়েভে এক রুশ হামলায় একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং ধ্বংস হয়। এখনো সেখানে নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতা চলমান। আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: এদিকে এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার এই যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলো এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে একটি কৌশলগত চাল হিসেবেই দেখছে। তাদের মতে, রাশিয়া নিজেকে শান্তির পক্ষপাতী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।