শহিদ বাবার পাশেই চির নিদ্রায় শায়িত হলেন লামিয়া, জানাজায় মানুষের ঢল

জুলাই আন্দোলনে ঢাকায় পুলিশের গুলিতে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া গ্রামের শহিদ জসিম উদ্দিনের কবরের পাশেই (বাবার কবরের পাশে) চির নিদ্রায় শায়িত হলেন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার লামিয়া। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর শেখেরটেক ৬ নম্বর রোডে ভাড়া বাসায় গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন লামিয়া। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সন্ধ্যায় লামিয়ার লাশ পটুয়াখালীর দুমকিতে পাঙ্গাশিয়া গ্রামে পৌছলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে পাঙ্গাশিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) সারজিস আলম, দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইজাজুল হক, দুমকি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ মো. শহিদুল ইসলাম ফাহিম, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক, আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি, পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য গত ১৮ই মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানা বাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। তিনি ওই ঘটনার দুইদিন পর ২০ মার্চ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি সাকিব মুন্সী ও সিফাত মুন্সী আদালতের আদেশমতে কারাগারে আছেন।