চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

২৬ এপ্রিল, ২০২৫ | ৪:৩১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাতে সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। পরে উপজেলা প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় চালকেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা থেকে কসবার দুটি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারা দেওয়া হয়। ইজারাদাররা প্রতিটি অটোরিকশা থেকে ১৫ টাকা করে আদায় করেন। গত বছর থেকে এর বিরোধিতা করে আসছে অটোরিকশা চালকেরা। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠকও হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে ঘোষণা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়ক অবরোধ অটোরিকশা চালকরা। এতে করে কসবা-নয়নপুর ও কসবা-কুটি চৌমহনী সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সড়কটি ব্যবহারকারীরা। এ সময় অটোরিকশা চালকেরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। চাঁদা বন্ধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। খবর পেয়ে কসবা থানার এসআই সোহেল শিকদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। তবে অটোরিকশা চালকদের বাধায় তিনি তা পারেননি। পরে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কসবা পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের, কসবা পৌর বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. শিবলী নোমানীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে দীর্ঘ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা। অটোরিকশা চালক লিটন মিয়া বলেন, ‘জীপির নামে আমাদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এ চাঁদা না দিলেই রিকশার চাবি নিয়ে যাওয়া হয়। করা হয় মারধরও। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে আন্দোলনে নেমেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জীপির টাকা বন্ধ করে দেওয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।’ কসবা পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী স্ট্যান্ড ইজারা দেওয়া হয়েছে। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিদিষ্ট স্ট্যান্ড ছাড়া অন্য কোথাও থেকে জীপির নামে চাঁদা তুলতে পারবে না।’