থার্টি ফার্স্ট নাইটে যা করা যাবে না

১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:৫৪ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যববস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকের অপব্যবহার রোধে আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা বার বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, এদিন কোথাও কোনো উন্মুক্ত কনসার্ট আয়োজন করা যাবে না। তবে মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। তবে রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ অবৈধভাবে মাদক কারবারি করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে। সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘বড়দিন’ এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের আইন-শৃঙ্খলা ও আনুষাঙ্গিক বিষয় সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তায় কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট ও নাচগানের আয়োজন করা যাবে না। বড় গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে। কূটনৈতিক পাড়ায় বেশিরভাগ কূটনীতিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে। ডগ স্কোয়াডও থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটাতে আমরা অনুরোধ রাখছি। এগুলো ফুটিয়ে জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি না করতে বলা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো বহিরাগত ঢুকতে না পারেন, সে জন্য কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সেখানে প্রবেশ সীমিত করে দেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপির শাসনামলে নিখোঁজ বা গুম হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা হচ্ছে। সে সময় মুক্তিযোদ্ধাদেরও হত্যা করা হয়েছিল। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গুম ও হত্যা করা হয়ে়ছিল। আমরা সেগুলোর একটা রিপোর্ট প্রস্তুত করছি। সব কিছুর তদন্ত হোক, এটা আমরাও চাই।