২৯ ডিসেম্বর থেকে চলবে সীমিত যাত্রী নিয়ে

১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধনের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। আগামী ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে সীমিত যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোরেলের একজন যাত্রী পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবেন না। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য কাউন্টার টিকিট ও এমআরটি স্থায়ী পাস দুটি মাধ্যম থাকবে। অটো ও ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে স্টেশন থেকে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এ ছাড়া টাকা রিচার্জের মাধ্যমে স্থায়ী এমআরটি পাস দিয়ে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল)’র সূত্র জানায়। এ বিষয়ে ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হলেও সাধারণ যাত্রী নিয়ে চলবে উদ্বোধনের পরের দিন। মেট্রোরেলের প্রতিটা স্টেশনে টিকিট পাওয়া যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে এমআরটি পাস রাজধানীর বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাবে। যাত্রীরা সেসব জায়গা থেকে এই টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে। আমরা মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গেও কথা বলছি। সেটা হলে যাত্রীরা এমআরটি পাস মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিচার্জ করতে পারবে। দুই ধরনের টিকিট থাকবে মেট্রোরেলে ॥ মেট্রোরেল সূত্র জানায়, স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ধরনের টিকিট দিয়ে চলাচল করা যাবে মেট্রোরেলের এমআরটি-৬ লাইনে। প্রথমটি সিঙ্গেল জার্নির জন্য অস্থায়ী টিকিট। দ্বিতীয়টি এমআরটি পাস (স্থায়ী টিকিট) পারমানেন্ট জার্নির জন্য। সিঙ্গেল জার্নির জন্য যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কাটতে হবে। যাত্রা শেষ করে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ, এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না। এমআরটি পাসের জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টাকা শেষ হলে রিচার্জ করতে হবে। এই টিকিট যাত্রীকে স্টেশনে জমা দিতে হবে না। যাত্রীর কাছেই এই টিকিট থাকবে। এই টিকিট পান্স স্টেশনে যাতায়াত করতে পারবে যাত্রীরা। মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে অটো ও ম্যানুয়েল দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। অটো পদ্ধতিতে যাত্রীরা নিজেদের টিকিট নিজেরাই কাটতে পারবে। টিকিট বিক্রয় মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কাটতে হলে যাত্রীকে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি অপশন নির্বাচন করতে হবে। সিঙ্গেল ও পারমানেন্ট জার্নির জন্য টিকিট নির্বাচন করতে হবে। এরপর আসবে যাত্রীদের গন্তব্যের তালিকা। কোন স্টেশনের কত ভাড়া সেই তালিকা দেওয়া থাকবে। সেখান থেকে যাত্রীকে তার গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর কয়টি টিকিট কাটবে তার আপশন আসবে। সিঙ্গেল জার্নির জন্য একজন যাত্রী একবার যাত্রায় পাঁচটির বেশি টিকিট কাটতে পারবে না। এরপর ওকে বাটনে চাপ দিলেই মেশিন টাকা চাইবে। টাকা দিলেই টিকিট বেরিয়ে আসবে। মেশিনে সর্বনিমন ২০ টাকা আর সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা প্রবেশ করানো যাবে। টিকেটের দাম অনুযায়ী টাকার পরিমাণ মনিটরে দেখানো হবে। সে পরিমাণ টাকা প্রবেশ করাতে হবে। তবে যারা অটো পদ্ধতিতে টিকিট কাটতে পারবে না তাদের জন্য রয়েছে ম্যানুয়েল পদ্ধতি। এতে কাউন্টারের ভেতর থেকে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। এ জন্য রয়েছে লা নে দাঁড়ানো কাউন্টার বুথ। টিকিট সংগ্রহের পরে তা স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে গেট দিয়ে প্লাটফর্মে প্রবেশ করবে যাত্রীরা। একইভাবে যাত্রা শেষ করে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ, এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না। তবে কেউ যদি নির্ধারিত স্টেশনের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে তা হলে টিকিট জমা দিলেও স্বয়ংক্রিয় দরজা খুলবে না। তখন অতিরিক্ত দূরত্বের ভাড়া পরিশোধ করে স্টেশন ত্যাগ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। এ বিষয়ে ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মেট্রোরেলের টিকিট বিক্রয়ের পদ্ধতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই করা হয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলে অটো পদ্ধতিতে নিজের টিকিট নিজেই কাটতে পারবে। আবার যারা অটো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন না। তারা ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে কাউন্টারে টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এই অংশটি ২৮ ডিসেম্বর চালু করা হবে। মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলে যাতায়াতে সময় নেবে ২০ মিনিট।’