বাজি-জুয়ার প্রচার বন্ধে হাইকোর্টের রুল

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:০৬ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইন প্ল্যাটফরম, টেলিভিশন, বিশেষ করে খেলার চ্যানেলে ডিজিটাল, অনলাইন বাজি বা জুয়ার বিজ্ঞাপন সম্প্রচার, প্রচার বন্ধ, অপসারণে তদারক ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। এসংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার রুল জারি করেছেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ। টেলিভিশন, বিশেষ করে খেলার চ্যানেল, নিউজ পোর্টাল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দৃশ্যমান স্ক্রিনে খেলা অথবা খবরের ফাঁকে অবৈধ ডিজিটাল-অনলাইন বাজি বা জুয়ার বিজ্ঞাপন সম্প্রচার, প্রচার বন্ধ, অপসারণে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং অবিলম্বে এসব বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার, প্রচার বন্ধ বা অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্যসচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজি বলেন, ‘সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ ও দ্য পাবলিক গেমব্লিং অ্যাক্ট, ১৮৬৭ অনুযায়ী ভাগ্য নির্ভর অথবা টাকার সম্পৃক্ততা আছে এমন সব ধরনের বাজিই জুয়া। আর জুয়া বাংলাদেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জুয়া নিয়ে হাইকোর্টের রায় আছে, নিষেধাজ্ঞাও আছে। কিন্তু বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বিশেষ করে খেলার চ্যানেলগুলো সরাসরি খেলা ফাঁকে বিভিন্ন অনলাইন বাজির (বেটিং) বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইনেও দেদার চলছে বাজি অর্থাৎ জুয়া খেলা। আর এতে সম্পৃক্ত হচ্ছে দেশের যুবসমাজ। কিন্তু তদারক ও নিয়ন্ত্রণকারী কোনো কর্তৃপক্ষ এসব বাজি-জুয়া বন্ধে বা অপসারণে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, যে কারণে কয়েকটি অন্তর্র্বতী নির্দেশনা ও রুল চেয়ে রিটটি করা হয়েছে। আদালত প্রাথমিক শুনানির পর রুল জারি করেছেন। ’ সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘গণিকাবৃত্তি ও জুয়া খেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা হণ করিবেন’ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত এসংক্রান্ত খবর, প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিফতাউল আলম ও সুমিত কুমার সরকার।