নয়াপল্টন কার্যালয়ে ভাঙচুরে ৫১লাখ টাকার ক্ষতি: বিএনপি

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:০৪ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

রাজধানীর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরে নগদ অর্থসহ ক্ষতি ও লুট হওয়া সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫১ লাখ টাকা বলে দাবি করেছে বিএনপি। রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক মানবাধিকার, সাম্য ও সব নাগরিকের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে লাখো শহিদের রক্তে স্বাধীন বাংলাদেশে গত ৭ ডিসেম্বর ২০২২ নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশে অনির্বাচিত গণবিরোধী সরকারের নির্দেশে তার বিভিন্ন বাহিনীর যে নির্মম নিষ্ঠুরতা ও বর্বর আচরণ আপনারা ও আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী দেখেছেন তা শুধু বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করেনি, গণতন্ত্র হত্যাকারী ও বারবার গণতন্ত্র হত্যায় সহায়তাকারী বর্তমান ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের অগণতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী ও গণবিরোধী পরিচয় উৎকটভাবে পুনরায় প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রত গণমানুষের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে এবং একটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপুল অস্ত্র সজ্জিত বিশাল সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতর্কিত হামলা, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দলীয় নেতাকর্মী, এমনকি সাধারণ পথচারীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ, গুলি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড বোমা নিক্ষেপ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মকবুল আহমেদকে হত্যা, অসংখ্য নেতাকর্মীকে মারাত্মকভাবে জখম করা তীব্রভাবে নিন্দনীয়। তিনি বলেন, অফিসের ভেতর ঢুকে চেয়ারপারসন, মহাসচিবসহ নেতাদের এবং দল ও অঙ্গ দলের অফিসকক্ষ ভেঙে তছনছ করা; কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন দ্রব্য লুট ও ভাঙচুর, মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ও সিসি ক্যামেরাসহ আসবাব বিনষ্ট করা এবং এসব অপকর্মকে যুক্তিসঙ্গত প্রমাণের অপচেষ্টায় মিডিয়ার সামনেই ব্যাগে করে ককটেল বহন করে তা অফিসের বিভিন্ন কক্ষে রেখে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা, দলের মহাসচিবকে তার অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়ে অফিসের সামনে তাকে ঘেরাও করে রাখা এসব কিছুই আপনারা ও দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন। ঘটনার পর দিন পুলিশ বাদী হয়ে যে চারটি মামলা রুজু করেছে তার মধ্যে শুধু পল্টন থানায় করা ১০নং মামলায় ৭ ডিসেম্বর ২০২২ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশ থেকে গ্রেফতার কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সাবেক এমপি খায়রুল কবীর খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, সেলিম রেজা হাবিব এবং অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শাহ মো. নেছারুল হক, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবুল কালাম আজাদ, হারুন অর রশিদ, মোস্তাক মিয়া, আব্দুল খালেক ও খন্দকার আবু আশফাকসহ ৪৫০ নারী ও পুরুষ নেতাকে গ্রেফতার আসামি উল্লেখ করে এবং আরও ১ হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৭জন নারী কর্মীও রয়েছেন।