র‌্যাবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফারদিনের সহপাঠীরা

১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুযয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের ‘আত্মহত্যার' বিষয়ে জানতে র‌্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফারদিনের সহপাঠীরা। শুক্রবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে র‌্যাব সদর দপ্তরে যান ফারদিনের ২০ জন সহপাঠী। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তারা বৈঠক করেন। তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর র‌্যাব কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তারা। সাংবাদিকরা জানতে চান- ফারদিনের ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে র‌্যাবের ব্যাখ্যার সঙ্গে তারা একমত হতে পেরেছেন কিনা। জবাবে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, র‌্যাব কর্মকর্তারা তাদের সামনে মামলার প্রাপ্ত তথ্য ও আলামতগুলো প্রেজেন্টেশন আকারে তুলে ধরেছেন। অস্পষ্টতার বিষয়গুলো কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। র‌্যাবের ব্যাখ্যা তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তারা জানান, বুয়েটে ফিরে সবার সঙ্গে কথা বলে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। গত বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফারদিন ডেমরা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ফারদিনের সহপাঠীরা। তবে ওই কর্মসূচির আগে ডিবি কার্যালয়ে তাদের ডাক পড়ে। ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে সবকিছু খোলাখুলি জানানোর প্রস্তাব আসে ডিবির পক্ষ থেকে। ডিবির তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত হতে বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে যান বুয়েটের ৪০ জন শিক্ষার্থী। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন তারা। পরে সাংবাদিকদের তারা জানান, ডিবির তদন্তে তারা আশ্বস্ত হয়েছেন। ডিবির কাছ থেকে বিভিন্ন আলামত দেখে এগুলো প্রাসঙ্গিক বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। ডিবির সঙ্গে বৈঠকের পর আজ র‌্যাব সদর দপ্তরেও শিক্ষার্থীদের ডাকা হয়। শুক্রবার র‌্যাবের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষার্থীরা জানান, তারা এখানে কিছু বলতে চান না। বুয়েটে গিয়ে সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা তাদের মতামত গণমাধ্যমে জানাবেন। এদিকে ফারদিনের ‌‘আত্মহত্যার' নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব যে বক্তব্য দিয়েছে সেটি প্রত্যাখ্যান করেছেন তার বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা। তার দাবি, ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারেন না। আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। তিনি তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন। ডিবির তদন্তে সন্দেহ প্রকাশ করে নূরউদ্দিন রানা বলেন, যে আত্মহত্যা করেছে, সেই ব্যক্তি যে ফারদিন, সেটিই তো নিশ্চিত না। ফারদিন রামপুরা থেকে যাত্রাবাড়ী গেল কী করে? রামপুরা থেকে ফারদিনের যাত্রাবাড়ী যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, ফারদিনকে হয়তো এক জায়গা থেকে তুলে নিয়ে বন্দুকের মুখে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়েছে। তাকে অপরাধীদের নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য করা হতে পারে। তদন্তকারীদের উচিত আমাদের সব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো। যে ছেলে রাত ১১টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসত, সে কেন এসব সন্দেহজনক স্থানে এভাবে ঘুরবে?