ইরান-যুক্তরাষ্ট্র তৃতীয় দফায় বৈঠক শনিবার

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ পরমাণু আলোচনার দ্বিতীয় দফায় উভয় পক্ষ অগ্রগতির কথা জানিয়েছে। আলোচনার পরিবেশকে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী শনিবার ওমানে তৃতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এএফপি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওমানের রাজধানী মাস্কটে বৈঠকটি হবে। রোমে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ দেশ দুটির নেতৃত্ব দেন। দুই দেশের প্রতিনিধিরা সরাসরি মুখোমুখি না হয়ে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে বার্তা বিনিময় করেন। আলোচনায় কিছু মূলনীতি ও লক্ষ্য নিয়ে বোঝাপড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরাগচি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও, একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনায় ভালো অগ্রগতি হয়েছে এবং পরবর্তী বৈঠক নিশ্চিত। আগামী সপ্তাহে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে, যেটি মূল আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আরাগচি বলেন, আশাবাদী কিংবা হতাশ নই, আমরা বাস্তববাদী অবস্থানে আছি। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মূল দ্বন্দ্ব ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি বজায় রাখার অধিকার নিয়ে। পশ্চিমা দেশগুলো সন্দেহ করে, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও তেহরান বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তিতে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ কার্যক্রম সীমিত করবে। বিনিময়ে দেশটির ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। পরে প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালে ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান ট্রাম্প। গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় বসে আবারও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগে তৎপরতা শুরু করেন ট্রাম্প। তবে গত মার্চে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে লেখা একটি চিঠিতে নতুন করে পরমাণু আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান তিনি। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বিফলে গেলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।