জাবিতে নতুন ভবনের স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক, যা জানালো কর্তৃপক্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণের স্থান নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার দাবিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, নির্বাচিত স্থানটি পরিবেশগত দিক থেকে সবচেয়ে কম ক্ষতিকর বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পূর্বনির্ধারিত স্থান বাতিল করে টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি (টিএমসি) পুনর্গঠন করা হয়। কমিটি সরেজমিনে তিনটি সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করে— গণিত ও পরিসংখ্যান ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকা, ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উত্তর পাশ এবং পদার্থবিজ্ঞান ভবনের পশ্চিম পাশে লেকচার থিয়েটার দক্ষিণ উইং সংলগ্ন এলাকা। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জরিপ এবং বায়োডাইভার্সিটি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়, পদার্থবিজ্ঞান ভবনের পশ্চিম পাশের স্থানটি তুলনামূলকভাবে কম পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হবে। জরিপ অনুযায়ী, ওই এলাকার প্রজাতির বৈচিত্র্য সূচক (পিএসডিআই) অন্য দুই বিকল্পের তুলনায় কম। প্রশাসনের ভাষ্য মতে, নতুন ভবন নির্মাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সংশোধিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে ৪ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৩শ’ টাকার প্রাক্কলিত বাজেটের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং কমিশন অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে। তবে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে বরাদ্দ বাতিল হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানায়, মাস্টারপ্ল্যান কমিটির চারজন সদস্য টিএমসি-র সঙ্গে যুক্ত থাকায়, ভবন স্থাপনায় পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত যৌথভাবে গৃহীত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো কোনো বিকল্প প্রস্তাব এলে সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।