নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে আবেদনের সময় বাড়ল

রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সঙ্গে রোববার বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান । এরআগে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির দপ্তরে দুপুর ১২টায় এ বৈঠক শুরু হয়। আখতার আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের সময়সীমা আজ ২০ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। আমরা এই সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত করব। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২২ জুন পর্যন্ত সময়সীমা একই শর্তে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে, জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের কাছে ২০টি রাজনৈতিক দলের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন জমা পড়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সময়সীমা বাড়াতে তারা আবেদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, কেউ ২ মাস কেউ ৬ মাস পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছে। সব মিলিয়ে এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত সময়সীমা বাড়ানোর। ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ বিকাল পর্যন্ত নতুন নিবন্ধনের জন্য ৬৫টি রাজনৈতিক দল আবেদন করেছে। এছাড়া নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ৪৬টি দল আবেদন করেছে। চলতি বছরের ১০ মার্চ নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চালু হয়। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫০টি। বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন- অনিক রায় (যুগ্ম আহ্বায়ক), খালেদ সাইফুল্লাহ (যুগ্ম আহ্বায়ক), মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন (যুগ্ম আহ্বায়ক) ও তাজনূভা জাবীন (যুগ্ম আহ্বায়ক)। এদিকে রোববার শেষ হচ্ছে এবারের দল নিবন্ধন আবেদনের সময়। ডিসেম্বরে ভোটের লক্ষ্য ধরে ১০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন-ইসি। ২০ এপ্রিল হচ্ছে আবেদনের শেষ সময়সীমা। ইতোমধ্যে এনসিপির পক্ষ থেকে নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানোর আবেদন করে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া চিঠিতে এনসিপি বলছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রতিবেদনসহ সুপারিশ দিলেও অদ্যাবধি মৌলিক সংস্কার কার্যক্রমের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। মৌলিক সংস্কার ও বিদ্যমান আইন যুগোপযোগী না করেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য গত ১০ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সংস্কারের পূর্বেই দ্রুত তড়িৎ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে সমালোচনার জন্ম দেয়।