বেনিনে ৭০ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি আল কায়েদার

২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮:০১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আফ্রিকায় আল কায়েদার অঙ্গসংগঠন জামা’আ নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) দাবি করেছে, তারা বেনিনের উত্তরাঞ্চলে দুটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে ৭০ জন সেনাকে হত্যা করেছে। গত এক দশকেরও বেশি সময়ে বেনিনে জিহাদিদের দাবিকৃত এটিই সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানিয়েছে এসআইটিই ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। খবর রয়টার্সের। পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলীয় দেশ বেনিন ও এর প্রতিবেশী টোগো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একাধিক হামলার শিকার হয়েছে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলো সাহেল অঞ্চল ছাড়িয়ে এই উপকূলীয় অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। এসআইটিই-এর প্রতিবেদনের বিবরণ: এসআইটিই জানায়, জেএনআইএম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা বেনিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আলিবোরি বিভাগের কান্দি প্রদেশে দুটি সামরিক পোস্টে হামলা চালিয়ে ৭০ সেনাকে হত্যা করেছে। এলাকাটি রাজধানী কোটোনু থেকে ৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। তবে এ বিষয়ে জানার জন্য বেনিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এবেনেজার হনফোগার সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষে থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া মেলেনি। আর এ কারণে বার্তা সংস্থাটি এ বিষয়ে স্বাধীনভাবে তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি। প্রেক্ষাপট: প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সালে মালির উত্তরে তুয়ারেগ বিদ্রোহের পর সাহেল অঞ্চলে জিহাদি তৎপরতা শুরু হয়। এরপর এটি ছড়িয়ে পড়ে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং সাম্প্রতিককালে বেনিনসহ উপকূলবর্তী দেশগুলোতেও। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সহিংসতা মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে পাঁচটি সামরিক অভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে। এই সামরিক সরকারগুলো ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক ছিন্ন করে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে, জিহাদি মোকাবিলায় সহায়তা নিতে।