রাখাল-কৃষক সংঘর্ষে ৫৬ জনের প্রাণহানি

২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বেনু রাজ্যে চলতি সপ্তাহে সন্দেহভাজন যাযাবর রাখালদের (পশুপালক) চালানো দুটি হামলায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শনিবার বেনু রাজ্যপালের দপ্তর নিহতের সংখ্যা ১৭ থেকে বড় ধরনের সংশোধন করে এই নতুন সংখ্যা প্রকাশ করে। একজন সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্ধিত সংঘর্ষ ও সহিংসতা এর আগে শুক্রবার রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র আনে সেউইসে ক্যাথেরিন এক বিবৃতিতে জানান, ‘রাতারাতি বেনু রাজ্যের একটি অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক সন্দেহভাজন মিলিশিয়া হামলা চালায়’। ঘটনাটি পশুপালক (রাখাল) ও স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে সহিংসতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে ঘটে। এ ধরনের সহিংসতা গত কয়েক বছরে শত শত মানুষের প্রাণ নিয়েছে। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের প্রতিরোধ করতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হলে তারা আকস্মিকভাবে কৃষকদের ওপর গুলি চালা। এতে বেনুর উকুম এলাকায় পাঁচ কৃষক নিহত হন। প্রথম ঘটনাস্থলের প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরের লোগো এলাকায় দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি ঘটে। পুলিশের মুখপাত্র বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে কাছাকাছি এক অঞ্চলে একই সময়ে আরেকটি হামলা হয়, পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই ১২ জন নিহত হন’। এ ঘটনার মাত্র দুই দিন আগেই বেনুর ওটুকপো এলাকায় ১১ জনকে হত্যা করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী প্লাটো রাজ্যে সশস্ত্র হামলায় ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়। সহিংসতার প্রেক্ষাপট গবেষণা সংস্থা এসবিএম ইন্টেলিজেন্স-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে এই যাযাবর পশুপালক ও কৃষক সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে ৫০০ জনেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে এবং ২২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মূলত মুসলিম ফুলানি পশুপালক ও খ্রিস্টান বেরম ও ইরিগও জাতিগোষ্ঠীর কৃষকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ সংঘটিত হয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল ধর্মীয় সহিংসতা নয়। জলবায়ু পরিবর্তন ও চারণভূমির অভাব এই সংঘাতকে আরও তীব্র করে তুলছে। এ সহিংসতা নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলের কৃষি উৎপাদনে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। যা দেশটির খাদ্য সরবরাহে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সূত্র: আল-জাজিরা