কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করে বরখাস্ত হলেন বিজিএফসিএলের ৪ কর্মচারী

কাজ না করেও অতিরিক্ত ওভারটাইম দেওয়ার দাবি না মানায় এক কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ৪ কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) তাদের বরখাস্ত করা হলেও বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিষয়টি জানাজানি হয়। বরখাস্তকৃত চার কর্মচারী হলেন- গাড়িচালক মো. মমিনুল ইসলাম ও মো. মোস্তাক আহাম্মদ এবং প্লান্ট অপারেটর মো. শাহনূর আলম ও মো. জামাল হোসেন। এ ঘটনায় আহত কর্মকর্তা মো. মনজিল হাসিন সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিজিএফসিএল সূত্রে জানা গেছে, বিজিএফসিএলের বেশিরভাগ কর্মচারী দায়িত্ব পালন না করেও প্রতি মাসে ন্যূনতম ১০৪ ঘণ্টা ওভারটাইম দাবি করছেন। এজন্য কর্মচারীদের সংগঠন সিবিএর নেতাকর্মীরা সংশ্লিষ্ট তদারক কর্মকর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। গত ১৩ এপ্রিল বরখাস্ত হওয়া ওই চার কর্মচারীসহ পাঁচজন ওভারটাইম ইস্যুতে কম্প্রেসর মেকানিক্যাল মেইনটেইন্যান্স শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনজিল হাসানের সঙ্গে অসদাচরণ করে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। মূলত, বরখাস্তকৃতরা প্লান্ট ও ওয়ার্কশপে উপস্থিত না থাকলেও দৈনিক ৪ ঘণ্টা এবং মাসে ন্যূনতম ১০৪ ঘণ্টা ওভারটাইম দাবি করেন। এটি তাদের নিয়ম উল্লেখ করে নিয়ম না মানলে কর্মকর্তাদের কেউই বিজিএফসিএলে চাকরি করতে পারবেন না বলে হুমকি দেন মনজিলকে। এছাড়া ওভারটাইম রেজিস্টারে বাস্তবিক বহির্গমনের সময়ের সঙ্গে অতিরিক্ত দুই ঘণ্টা যোগ কর রেজিস্ট্রি করার দাবি জানান। তবে এটি অনৈতিক হওয়ায় যতক্ষণ ওভারটাইম করবেন, ততক্ষণই রেজিস্ট্রি করার কথা বললে ক্ষিপ্ত হয়ে মনজিলকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তারা। এ ঘটনায় বিজিএফসিএলের মহাব্যবস্থাকের (প্রশাসন) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মনজিল। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএফসিএলের মহাব্যবস্থাপক (কম্প্রেসর ও জেনারেটর) মো. আবুল কাসেম খান জানান, কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ওই চার কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।