কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে বাবার ফাঁসি

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়। ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বেড়াতে যায় বোনের বাড়িতে। রাতে বাবা তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে। তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত। চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (স্পেশাল পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে।