রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব বিতর্ক: স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইলেন আদালত

২৫ মার্চ, ২০২৫ | ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দিয়েছেন। খবর আনন্দবাজারের। হাইকোর্টের বিচারপতি এ আর মাসুদি ও অজয়কুমার শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে আট সপ্তাহ সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ২১ এপ্রিল এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে ওই দিনই কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। প্রতিবেদন অনুসারে, রাহুলের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে প্রথম অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ২০১৯ সাল থেকে রাহুলের এ নাগরিকত্ব বিতর্ক চলে আসছে। ওই সময়ে সুব্রহ্মণ্যম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানান রাহুলের বিরুদ্ধে। তার দাবি, ব্রিটেনের প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া কিছু নথিপত্রে রাহুল নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে উল্লেখ করেছেন। পরে এ নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিঘ্নেশ শিশির নামের এক বিজেপিকর্মী। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘লাইভ ল’ অনুসারে, হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, রাহুলের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়টি বর্তমানে বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে অবস্থান জানানোর জন্য আদালতের কাছে আরও দুই মাস সময় চান ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল সূর্যভান পাণ্ডে। তবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। আনন্দবাজার বলছে, এর আগে নাগরিকত্ব বিতর্কে রাহুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করার আবেদন জানিয়েও জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন আদালত। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যমও দিল্লির একটি আদালতের কাছে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের আরজি জানিয়েছিলেন। তার দাবি ছিল, ব্রিটেনের এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতা রাহুলই নিজেকে ‘ব্রিটিশ নাগরিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন একটি নথিতে। ভারতের আইন দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখার অনুমতি দেয় না। সে কথা উল্লেখ করে রাহুলের পাসপোর্ট বাতিলের দাবি করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম।