হাত উঁচিয়ে যাতে সরকারবিরোধী বক্তব্য না দিতে পারে সেজন্যই হাতকড়া: পিপি

পুলিশ সদস্যদের পেছনে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সালমানের দুই হাত পেছনে। দুই হাতেই পরানো হাতকড়া। পলকেরও দুই হাত পেছনে, দুই হাতেই পরানো হাতকড়া। গত ৫ আগস্টের পর আনিসুল, সালমানসহ সাবেক অন্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব, মেয়রদের এক হাতে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হতো। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে আনিসুল, সালমানসহ বেশ কয়েকজনকে দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানা থেকে আদালতে তোলা হয়েছে। তাদের দুই হাত পেছনে করে হাতকড়া পরানোর বিষয়ে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী জানান, আদালতে নেওয়ার সময় তারা হাত উঁচু করে চিৎকার করে সরকারবিরোধী বক্তব্য দেন। জানা যায়, নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ডের শুনানিতে আদালতে হাজির করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ছয় আসামিকে। তাদের প্রত্যেকের দুই হাত পেছনে করে হাতকড়া পরানো, মাথায় হেলমেট, গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। বুধবার সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ আদালতে এজলাসে একে একে প্রবেশ করেন সালমান এফ রহমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুর ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে সাফি মুদ্দাসসির খান জ্যোতি। আদালতে প্রবেশের পর তাদের হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। তারা কথা বলেন তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে। এ সময় পলক তার আইনজীবীকে বলেন, আমি এখন আর জামিনের আশা করি না। তবে আমার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলার কপি আপনি তুলে রাখবেন। এরপর রাজধানীর বিভিন্ন থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। কয়েকজনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডও মঞ্জুর করেন আদালত। দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা প্রসঙ্গে পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, সম্প্রতি সালমান, আনিসুলসহ বেশ কয়েকজন আসামিকে দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। মূলত বেশ কয়েকজন আসামি হাজতখানা থেকে আদালতে তোলার সময় হাত উঁচু করে চিৎকার করে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিতে চান। তারা যাতে হাত উঁচু করে এ ধরনের কথাবার্তা না বলতে পারেন, সে জন্য তাদের হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে আদালতে তোলা হচ্ছে।