ধর্ষকের বিচারের দাবিতে জাবিতে মিছিল, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ

১০ মার্চ, ২০২৫ | ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সারাদেশে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১০ মার্চ) রাত ১০টায় ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে শেষ হয়। অন্যদিকে, আরেকটি মিছিল ফজিলাতুন্নেছা হল থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন হল প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে একত্রিত হয়। শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আহসান ইমাম বলেন, ‘কোনো বয়সী নারীই এখন ধর্ষকের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। আমরা এমন বাংলাদেশ চাই না। নারীদের জন্য নিরাপদ দেশ চাই। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।’ পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয় এবং রাত ১০:৫৫ থেকে ১১:২৫ পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের সহ-মুখপাত্র মালিহা নামলা বলেন, ‘আজকে আসিয়ার খবরটা যদি ভাইরাল না হতো, তাহলে কি তার চিকিৎসাও হতো? নাকি আমরা এখানে তার ধর্ষকের বিচারের দাবিতে দাঁড়াতাম? আমাদের আশপাশেই হাজার হাজার আসিয়া আছে, যারা ন্যায়বিচার পায় না। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রশাসনকে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে কোনো নারী বা শিশু ধর্ষণের শিকার না হয়।’ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে দেখেছি, আর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও একই সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। শুধু ধর্ষণ নয়, নারীদের প্রতিনিয়ত হেনস্তা করা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বুলিং করা হচ্ছে। আমরা নারীদের জন্য নিরাপদ দেশ চাই।’ ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মুখপাত্র সাইয়েদ শাওলি বলেন, ‘আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে লাগাতার ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ করছি। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করতে হবে। আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি—এর মধ্যে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যদি তা না করা হয়, তাহলে আমরা ধরে নেবো, এই ইন্টেরিম সরকার পূর্বের স্বৈরাচারী সরকারের মতো নারীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’ শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচির ফলে মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও আন্দোলনকারীরা বলেন, তাদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।