তুরস্ককে ‘ভুল’ বক্তব্য না দেওয়ার সতর্কবার্তা দিল ইরান

৪ মার্চ, ২০২৫ | ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এমন ‘ভুল বক্তব্য ও অবাস্তব বিশ্লেষণ’ থেকে বিরত থাকা উচিত। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সহকারী মাহমুদ হেইদারি বলেছেন, তেহরান ও আঙ্কারার অভিন্ন স্বার্থ এই ধরনের মন্তব্য এড়ানোর প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে, যা দুই দেশের মধ্যে বিরোধ ও উত্তেজনা বাড়াতে পারে। সোমবার তেহরানে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হিজাবি কিরলাংগিচের সঙ্গে বৈঠকে হেইদারি এ কথা বলেন বলে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের অভিন্ন স্বার্থ এবং এই অঞ্চলের সংবেদনশীল পরিস্থিতি বিবেচনায়, ভুল তথ্য ও অবাস্তব বিশ্লেষণ থেকে বিরত থাকা জরুরি। এগুলো মতবিরোধ ও উত্তেজনার কারণ হতে পারে।’ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিরদানের ইরানের নীতির বিষয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে হেইদারি বলেন, ইসরাইলি শাসনের আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদই এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান ইসলামি দেশগুলোর উচিত, ফিলিস্তিনের জনগণ এবং সিরিয়াসহ অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।’ বৈঠকে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত হিজাবি কিরলাংগিচ বলেন, আঙ্কারা তেহরানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং সম্প্রসারণ করতে চায়। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা থাকা উচিত যাতে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, আঞ্চলিক ইস্যুতে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানো এবং বিদ্যমান হুমকিগুলোর সমাধান খুঁজে পেতে পারে।’ তিনি আরও জানান, ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত তিনি তুরস্ক সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন। এর আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান সম্প্রতি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি ইরানের এই নীতিকে ‘খুবই বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, এই কৌশল ইরানকে কিছু সুবিধা এনে দিলেও এর ব্যয় অনেক বেশি। ফিদান সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে ইরানের এই নীতি দেশটির পাশাপাশি পুরো অঞ্চলকেই বোঝা হিসেবে চাপে ফেলতে পারে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইরান যদি তার বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখে, তাহলে অন্যান্য দেশও ইরানের ভেতরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন দিতে পারে, যা দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, ‘যারা কাচের ঘরে থাকে, তাদের পাথর মারা উচিত নয়,’ অর্থাৎ ইরান নিজেই তার নীতির জন্য পাল্টা প্রতিক্রিয়ার শিকার হতে পারে।