আফগান শরণার্থীদের গ্রেফতার করছে পাকিস্তান, জাতিসংঘের উদ্বেগ

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

অবৈধ আফগান শরণার্থীদের গ্রেফতার করে দেশে ফেরত পাঠানো এবং বৈধ শরণার্থীদের ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। যেসব আফগান শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসনের জন্য অনুমোদিত হননি, তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে দেশটি। পাকিস্তান গত নভেম্বর থেকে অবৈধ বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে, যার ফলে ৮১৫,০০০ এরও বেশি ব্যক্তিকে পুনর্বাসন বা প্রত্যাবর্তনের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং বিদেশি সরকারগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ তারা আশঙ্কা করছে যে, আফগান শরণার্থীদের তালেবান শাসনে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানোর ফলে তারা অত্যাচারের শিকার হতে পারে। মার্চ ৩১ তারিখের মধ্যে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে আফগান নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, যারা শরণার্থী গ্রহণের জন্য অন্য দেশের সাথে চুক্তি করেছে তাদেরকে দ্রুত পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে অথবা অন্যথায় শরণার্থীদের আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হবে। আফগানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এডিএনের খবরে বলা হয়েছে, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক আফগান শরণার্থীদের উপর নির্যাতন এবং কোন পূর্ব নোটিশ দেওয়া ছাড়াই বিনা কারণে শরণার্থীদের গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠেছে। ৭ জানুয়ারি পাকিস্থানের আফগান দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখনো পর্যন্ত ৮০০ শরণার্থীকে পাকিস্তান সরকার গ্রেফতার করেছে, যাদের অনেকেই জাতিসংঘের নিবন্ধিত শরণার্থী। এদিকে নিবন্ধিত আফগান শরণার্থীদের ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি থেকে উচ্ছেদ পরিকল্পনা গ্রহণ করায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক যৌথ বিবৃতিতে উভয় সংস্থা পাকিস্তান সরকারকে আফগান শরণার্থীদের স্থানান্তরিত করার বিষয় মানবাধিকারের শর্তসমূহ বিবেচনা করার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পাদন করার আহবান জানিয়েছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আ্যমিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রাতের আধারে শরণার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান, হেনস্তা এবং নারী-শিশু নির্বিশেষে শতশত শরণার্থীদের গ্রেফতারকে বৈষম্যমূলক নীতি বলে অবিহিত করেছেন।