ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি না দিলে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত: হামাস

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, যদি ইসরাইল ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি না দেয়, তবে তাদের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করা হবে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গাজা থেকে ছয় ইসরাইলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এই মুক্তির প্রতিশ্রুতি ছিল। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) হামাসের কর্মকর্তা মাহমুদ মারদাউই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম এক বিবৃতিতে এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরাইল যেন তাদের আগের প্রতিশ্রুতি পালন করে এবং ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের ইসরাইলকে চাপ দিতে বলেছিলেন। মিশর এবং কাতার ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে তারা ওই ৬২০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যাদের মুক্তির কথা বলা হয়েছিল। এ বিষয়ে মিশরীয় কর্মকর্তা এপিকে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত মিশর ইসরাইলের অন্য কোনো দাবি নিয়ে আলোচনা করবে না। কান ইউনিজ এবং পশ্চিম তীরে রামাল্লার শহরে, যেসব পরিবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাণ্ডায় অপেক্ষা করেছিল, তারা হতাশ হয়ে পড়েন যখন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী অফিস মুক্তির বিলম্বের কথা জানায়। হামাস এই পদক্ষেপটিকে স্পষ্ট যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং ইসরাইল যদি বন্দি মুক্তি না দেয় তবে তারা আলোচনা স্থগিত করবে বলে ঘোষণা করেছে। হোয়াইট হাউস রোববার জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানায়, যে ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি বিলম্বিত হচ্ছে যাদের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপে ইসরাইলকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। শনিবার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বন্দি মুক্তি বিলম্বিত হবে যতক্ষণ না হামাস ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির সময় তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করবে। হামাস এই বিলম্বকে স্পষ্টভাবে চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং নেতানিয়াহুকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও বিলম্বের কৌশল হিসেবে অভিযুক্ত করেছে।